বিভিন্ন চরিত্রে অভিনেত্রী শ্বেতা বসু প্রসাদ
নিশি রহমান | প্রকাশিত: ৪ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:৩০
শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয়জীবন শুরু করেছিলেন শ্বেতা। ‘মকড়ি’ ছবিতে অভিনয় করে সেরা শিশুশিল্পী হিসেবে জাতীয় পুরস্কারও জিতেছিলেন। শুধু হিন্দি নয়, তামিল, তেলেগু ছবিতেও তাঁর দাপট দেখা গেছে। মাঝখানে নানা বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন শ্বেতা। সব ঝড়ঝাপটা সামাল দিয়ে আবার কক্ষপথে ফিরেছেন তিনি।
শ্বেতা বসু প্রসাদ নামটির সঙ্গে কমবেশি অনেকেই পরিচিত। বিশেষ করে ওটিটির বদৌলতে অনেক ঘরেই পৌঁছে গেছেন এই বাঙালি কন্যা। এবার তাঁকে খ্যাতনামা পরিচালক মধুর ভান্ডারকরের আগামী ছবি ‘ইন্ডিয়া লকডাউন’-এ দেখা যাবে। জি-ফাইভে মুক্তি পেয়েছে ছবিটি। মধুরের এই ছবিতে সম্পূর্ণ এক অন্য ধারার চরিত্রে আসতে চলেছেন শ্বেতা।
পর্দায় কখনো শ্বেতাকে সাহসী সাংবাদিক, দুঁদে আইনজীবী, কখনো বা সাধারণ গৃহবধূর চরিত্রে দেখা গেছে। ‘ইন্ডিয়া লকডাউন’ ছবিতে শ্বেতা এবার যৌনকর্মীর ভূমিকায় আসতে চলেছেন। মুম্বাইয়ের যৌনপল্লি কামাতিপুরার যৌনকর্মী মেহেরুন্নিসার চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। নিজের চরিত্রটি প্রসঙ্গে এই অভিনেত্রী বলেছেন, ‘যৌনকর্মীসহ আমরা সবাই লকডাউনের অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে দিন কাটিয়েছি। অনেকেই প্রশ্ন করেছেন, যৌনকর্মীর চরিত্রের জন্য আমি নিজেকে কীভাবে তৈরি করেছি। এটি আমার কাছে অন্য সব চরিত্রের মতো আরেকটি চরিত্র ছিল। একজন মানুষের কাহিনি ছিল। অভিনেতা হিসেবে আমরা সত্যিই ভাগ্যবান, নতুন নতুন চরিত্রে নিজেদের আবিষ্কার করার সুযোগ পাই।
নিজের চরিত্রের প্রস্তুতি প্রসঙ্গে শ্বেতা আরও বলেন, ‘এই চরিত্রের জন্য আমি যথেষ্ট গবেষণা করেছিলাম। মধুর স্যার ও তাঁর দল আমাকে কামাতিপুরায় নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে কয়েকজন যৌনকর্মীর সঙ্গে দেখা করেছিলাম। তাঁদের সঙ্গে সময় কাটিয়েছিলাম। একজন যৌনকর্মীর শরীরী ভাষা, কথা বলার ভঙ্গিসহ সার্বিক আচরণ ভালোভাবে লক্ষ করেছিলাম। তাঁদের জীবনকে অনুভব করার চেষ্টা করেছিলাম।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।