রবিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৫, ২০ আশ্বিন ১৪৩২

গুলতেকিনের পরে হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে আবেগি পোস্ট শাওনের

ওলিউল্লাহ তুহিন | প্রকাশিত: ৫ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৫১

ছবি: সংগৃহীত

প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের প্রথম স্ত্রী গুলতেকিন খান সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে তাঁদের দাম্পত্য জীবনের নানা টানাপোড়েনের কথা উল্লেখ করেন। সেই পোস্ট ঘিরে নেটিজেনদের মধ্যে শুরু হয় ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা।

‎এরপর রবিবার (৫ অক্টোবর) নিজের ফেসবুক পেজে প্রয়াত স্বামীকে নিয়ে আবেগঘন একটি পোস্ট দেন হুমায়ূন আহমেদের আরেক স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন। সেখানে তিনি হুমায়ূন আহমেদের আত্মজীবনীমূলক বই ‘নিউইয়র্কের নীলাকাশে ঝকঝকে রোদ’ থেকে একটি অংশ শেয়ার করেন। শাওন লিখেছেন, নিউইয়র্কে ক্যানসারের চিকিৎসার সময় হুমায়ূন আহমেদ এই বইটি লেখেন। বইয়ের একটি অংশে উঠে এসেছে, কীভাবে অসুস্থতার দিনগুলোতে শাওনকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদ্রুপাত্মক ও মানসিকভাবে কষ্টদায়ক মন্তব্যের মুখোমুখি হতে হয়েছে।

‎পোস্টে শাওন উল্লেখ করেন, একজন লিখেছিল—“তোমার উচিত শিক্ষা হয়েছে। আমি খুশি যে তোমার স্বামীকে ক্যানসার দিয়ে আল্লাহ তোমাকে শিক্ষা দিলেন।” এমনকি তাদের সন্তান লীলাবতীর মৃত্যুতেও তিনি এমন তির্যক মন্তব্য পেয়েছেন।

‎এইসব কষ্টের সময় হুমায়ূন আহমেদ তার স্ত্রীকে সান্ত্বনা দিয়ে বলেছিলেন, “পৃথিবীতে মানসিক অসুস্থ অনেক মানুষ আছে। তাদের নিয়ে চিন্তা করো না। সুস্থ মানুষের কথা ভাবো। শত শত মানুষ তোমার জন্য ভালোবাসা ও দোয়া লিখছে। তাদের একজন তো কাবা শরিফ থেকে দোয়ার কথা জানিয়েছে।”

‎পোস্টে শাওন আরও তুলে ধরেন, কীভাবে হুমায়ূন আহমেদ নিজেও জীবনে এক বিকৃত মানসিকতার যুবকের মুখোমুখি হয়েছিলেন। ‘নিউইয়র্কের নীলাকাশে ঝকঝকে রোদ’ বইয়ে লেখক উল্লেখ করেন, এক যুবক তার কাছে এসে সরাসরি বলেছিল—“আপনার লেখা আমার জঘন্য লাগে” এবং “আই ওয়ান্ট ইউ টু ডাই সুন” (আমি চাই আপনি শিগগিরই মারা যান)। উত্তরে হুমায়ূন আহমেদ শান্তভাবে বলেছিলেন, “আই হোপ অ্যান্ড প্রে ইউ হ্যাভ আ লং অ্যান্ড মিনিংফুল লাইফ” (আমি আশা করি এবং প্রার্থনা করি আপনার জীবন দীর্ঘ হোক)।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top