শরীরের ক্লান্তি দূর করতে যে খাবারগুলো উপকারী

নিশি রহমান | প্রকাশিত: ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০৪:৫১

ছবি: সংগৃহীত

ব্যস্ত জীবনযাত্রায় ক্লান্তি খুব সাধারণ একটা বিষয়। অনেক সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমের পরও ক্লান্তি যেন কাটতেই চায় না। আর যাদের সারাদিনে পর্যাপ্ত ঘুম হয় না,তাদেরও ক্লান্তির হাত থেকে রেহাই নেই। সারাদিনের কাজের ব্যস্ততা, দীর্ঘক্ষণ কম্পিউটর, মোবাইল, ল্যাপটপের স্ক্রিনের সামনে থাকার ফলে স্বাস্থ্যের উপর ব্যাপক প্রভাব পড়ে । এর ফলে অনেক সময় ঘুমই ভাঙছে ক্লান্তির সঙ্গে। সেই ক্লান্তি সারাদিনই থাকে। বিশেষজ্ঞরা এমন কিছু খাবার তালিকায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন, যা নিমেষে ক্লান্তি দূর করতে পারে। যেমন___

পানি: পানি শরীরকে কর্মক্ষম রাখে। শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ও বিভিন্ন স্থানে খাদ্য উপাদান পরিবহন করে। শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিলে ভারসাম্যহীনতা ও দুর্বলতা দেখা দেয়। তাই সুস্থতার জন্য পানি একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান।

চা বা কফি : শরীরকে চাঙা করতে চা বা কফি বিশেষ সহায়ক। এটি হৃৎযন্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়ায়, শ্বাস-প্রশ্বাসের হার বাড়ায় এবং শরীরকে উদ্দীপ্ত রাখে। তবে চা বা কফি বেশি পান করলে রাত্রে নিদ্রাহীনতা দেখা দিতে পারে।

মধু: মধুতে গ্লুকোজ ও ফ্রুকটোজ আছে যা শরীরে শক্তি যোগায় এবং ক্লান্তি দূর করে। এর অন্যান্য উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

দই:  দই এ প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেট থাকে যা এনার্জির ঘাটতি পূরণ করার সবচেয়ে জরুরি উপাদান। তাই প্রতিদিন ১ কাপ দই খান। ক্লান্তি আসবে না শরীরে।

বাদাম:  ক্লান্ত লাগলে এক মুঠো বাদাম খাওয়া দ্রুত শক্তি জোগাতে ভালো কাজ করে। এর মধ্যে রয়েছে প্রোটিন, আঁশ, ভালো চর্বি, মিনারেল ইত্যাদি। শক্তি বাড়াতে এবং কোষ তৈরিতে বাদাম বেশ উপকারী।

ডিম: ডিম এর মধ্যে রয়েছে প্রোটিন এবং প্রয়োজনীয় এমাইনো এসিড। এ ছাড়া এতে রয়েছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন ডি। এটি শক্তি বাড়াতে সহায়ক। ক্লান্তি দূর করতে ডিম খেতে পারেন।

ডার্ক চকোলেট:  চকোলেট দ্রুত শক্তি বাড়ায় এবং মেজাজ ভালো করে। এর মধ্যে রয়েছে থিব্রোমিন ও ট্রিপটোফেন। মস্তিষ্কে ভালো অনুভূতির হরমোন তৈরির মাধ্যমে এটি মনকে শিথিল করতে সাহায্য করে।

ওটমিল: ওটমিলে কার্বোহাইড্রেট ছাড়াও প্রোটিন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস এবং ভিটামিন বি ১-এর মতো উপাদান থাকে যা শরীরের এনার্জির ঘাটতি হতে দেয় না। তাই সকালের নাস্তায় ওটমিলের সঙ্গে ফল মিশিয়ে খেয়ে নিন। এনার্জি পাবেন দিনভর।

কলা: কলাতে থাকে পটাসিয়াম, পাশাপাশি ভিটামিন বি, সি, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, ফাইবার এবং কার্বোহাইড্রেট দেহে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে। প্রতিদিন সকালে একটি হলেও কলা খাওয়ার চেষ্টা করুন।

শরীর যখন ক্লান্ত থাকে তখন পেশীতে ব্যথা, প্রেরণার অভাব, মনোযোগের সমস্যা, ক্ষুধামন্দাসহ আরও সমস্যা দেখা দেয়। যা প্রতিদিনের জীবনযাপনকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। অতএব অস্বাস্থ্যকর খাবার বর্জন করতে হবে। শারীরিক ও মানসিক চাপকে নিজেই ব্যালেন্স করতে হবে। কেননা সময় থাকতে জীবনকে উপভোগ করুন।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top