কাঁচা কাঁঠালের স্বাস্থ্য উপকারিতা

পাকা কাঁঠালের গন্ধে চারদিক ম ম করার সময় এখনো আসেনি। তবে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে কাঁচা কাঁঠাল। ভাবছেন কাঁচা কাঠাল কী কাজে লাগে? কাঁচা কাঠাল খাওয়া যায় সবজি হিসেবে। কাঁচা কাঁঠাল তরকারি খেতেই কেবল সুস্বাদু নয়, এটি আমাদের শরীরের জন্যও দারুণ উপকারী। কাঁঠালে বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ, সি, বি-১, বি২, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়ামসহ নানা রকমের পুষ্টি ও খনিজ উপাদান পাওয়া যায়।

এসব উপাদান আমাদের শরীরকে সুস্থ ও সবল রাখতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি ভিটামিনের চাহিদাও পূরণ করে কাঁঠাল। চলুন জেনে নেওয়া যাক কাঁচা কাঁঠাল খাওয়ার কিছু উপকারিতা-

১. কাঁঠাল ফাইবারসমৃদ্ধ ফল হওয়ায় হজমশক্তি বাড়ায় এবং পেট পরিষ্কার রাখে।

২. কাঁঠালে রয়েছে লিগনাস, সাপনিস ও নামক ফাইটোনিউট্রিঅ্যান্ট অর্থাৎ এই পদার্থগুলোতে স্বাস্থ্য রক্ষার গুণাবলী রয়েছে। এই পদার্থগুলোর রয়েছে ক্যানসার প্রতিরোধক। কোলন ক্যানসার, ফুসফুসের ক্যানসার, মুখ গহরে ক্যানসার, প্রোসটেট ক্যানসার, ব্রেস্ট ক্যানসার, প্যানক্রিয়াটিক ক্যানসার।

৩. গর্ভবতী মা প্রতিদিন ২০০ গ্রাম পাকা কাঁঠাল খেলে গর্ভস্থ শিশুর সব ধরনের পুষ্টির অভাব দূর হয় এবং গৰ্ভস্থ সন্তানের বৃদ্ধি স্বাভাবিকভাবে হয়। এই কাঁঠালের সব থেকে বড় গুণ হচ্ছে এটি মায়ের দুধের পরিমাণও বৃদ্ধি পায়।

৪. কাঁঠাল ত্বকের বলিরেখা বা বয়সের ছাপ কমাতে সহায়তা করে। কাঁঠালের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান বয়ঃবৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে ধীর করে ফলে ত্বকে বয়সের ছাপ দেখা যায় না। তাই ত্বকের বয়স ধরে রাখতে অর্থাৎ চেহারায় লাবণ্য দীর্ঘস্থায়ী করে কাঁঠাল।

৫. কাঁঠাল প্রায় কোনো কোলস্টেরল নাই বললেই চলে। তাই কাঁঠাল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ। যেকোনো বয়সের মানুষ এটা খেতে পারেন। এটি শক্তির ভালো উৎস। এতে আছে ভালো শর্করা। নাশতা হিসেবে বা অন্য খাবারের বিকল্প হিসেবে কাঁঠাল খেতে পারেন।

৬. এতে চর্বির পরিমাণ খুব কম। তাই বেশি খেলেও ওজন বাড়ার শঙ্কা নেই। বরং পেট ভরে রেখে ওজন কমাতে সাহায্য করে কাঁঠাল।

 ৭. কাঁঠালে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ এবং বিটা ক্যারোটিন, যা চোখ ভালো রাখে।

৮. কাঁঠালে আয়রন থাকে, যা রক্তে লোহিতকণিকার পরিমাণ বাড়ায়। রক্তাল্পতায় রোগীদের জন্য কাঁঠাল খুবই উপকারী।

 ৯. কাঁঠালের স্বাস্থ্য উপকারিতার মাঝে রয়েছে অ্যাজমা প্রতিরোধের গুণাবলী। গবেষণায় বলা হয়ে থাকে যদি কাঁঠালের শিকড় এবং এর নির্যাস ফুটিয়ে পানিটা খাওয়া হয় তাহলে অ্যাজমা প্রতিরোধ সম্ভব।

১০. কাঁঠাল দেহের শক্তি বৃদ্ধি করে। কাঁঠালে থাকা ফুক্টোজ ও সুকোজ চমৎকারভাবে দেহের শক্তি বৃদ্ধি করে রক্তের সুগারের মাত্রা কোনো রকম না বাড়িয়েই।