আইসক্রিমের একাল - সেকাল

নিউজফ্ল্যাশ৭১ ডেস্ক | প্রকাশিত: ৪ এপ্রিল ২০২১, ০২:৫৫

ছবি: সংগৃহীত

আইসক্রিম খেতে কার না ভালো লাগে! শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার কাছেই সমান জনপ্রিয় এ খাবারটি।

আইসক্রিম যা বাঙালির কাছে কুলফি নামেও পরিচিত। এটি এক প্রকার ডেজার্ট, যা বরফ, চিনি এবং প্রধানত দুধ মিশিয়ে তৈরি করা হয়। যদিও এখন বিশ্বে হাজারো স্বাদ ও বৈচিত্র্যের আইসক্রিমের দেখা মেলে। তবে এর ইতিহাস জানতে চলে যেতে হবে হাজার বছর আগে, রাজা-বাদশাদের যুগে।

জানা যায়, ১৬ শতাব্দীতে ইতালিয়ান অভিযাত্রী মার্কোপোলো দুধ দিয়ে আইসক্রিম তৈরির রেসিপি চীন থেকে প্রথম ইউরোপে নিয়ে আসেন। সেই সময়ে কুবলাই খানের লোকেরা ঠেলাগাড়ি করে জমাট দুধের একধরনের খাবার বিক্রি করতো। এই খাবারটির নামই পরে হয় আইসক্রিম। আইসক্রিম ১৫৩৩ সালে ইতালি থেকে প্রথম ফ্রান্সে আসে। সেখান থেকে পরে যায় ইংল্যান্ডে। এরপর আমেরিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আইসক্রিম ছড়িয়ে পড়ে। 

১৯০০ সাল থেকে আইসক্রিমের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়। প্রথমদিকে আইসক্রিম কেবল রাজা-বাদশা ও সম্ভ্রান্ত মানুষদের জন্যেই তৈরি হতো। ১৬৬০ সালের পর থেকে মজাদার এ খাবারটি সাধারণ মানুষের জন্য সহজলভ্য হয়ে উঠতে থাকে। আইসক্রিমের প্রথম বিজ্ঞাপনটি ছাপা হয় ১৭৭৭ সালের ১২ মে, নিউ ইয়র্ক গেজেটে। ১৭৯০ সালের গ্রীষ্মে প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটন আইসক্রিম বাবদ ২০০ ডলার খরচ করেন। ১৯০০ সালের পর থেকে শিল্প হিসেবে আইসক্রিম বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু হয়। ১৯৪৫ সালে তৈরি হয় প্রথম ভাসমান আইসক্রিম পার্লার। 

ইতিহাস ঘাটলে আরও জানা যায়, মধু, ফল ও বরফ দিয়েই শুরুর দিকে আইসক্রিম বানানো হতো! তবে এর মূল উপকরণ ছিল দুধ, চিনি আর বরফ। অনেকের মতে, আইসক্রিমে চিনি মেশানো শুরু হয় বাগদাদে। আর এতে দুধ ব্যবহার শুরু হয় চীনে। বর্তমানে বিশ্বে এখন পাঁচ হাজারেরও বেশি প্রকারের আইসক্রিম বাজারে পাওয়া যায়। 

এই গরমে চাইলে মজাদার আইসক্রিমের স্বাদ নিতে পারেন আপনিও!


এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top