ঘরে বসেই দূর করুন চেহারার বলি রেখা

নিশি রহমান | প্রকাশিত: ২২ জানুয়ারী ২০২৩, ০৬:০৯

প্রতীকী ছবি

তিরিশ পেরোতেই অনেকের ত্বকে বার্ধক্য দেখা দিতে শুরু করে। সাধারণত এই বয়সে এসে ত্বকের মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক তেলের উৎপাদন কমে যায়। এর ফলে শুষ্কতা এবং বলিরেখার সমস্যা আরও বেড়ে যায়। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের কোলাজেন এবং ইলাস্টিন ফাইবারগুলিও ভাঙতে শুরু করে। তবে নিয়মিত কিছু বিষয় মেনে চললে এই সমস্যা থেকে সহজেই রেহাই পাওয়া যেতে পারে।

পার্লারে গিয়ে নিয়মিত রূপচর্চার মাধ্যমে অনেকেই ত্বকে বা চেহারায় বয়সের ছাপ লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেন। তবে এমন সামর্থ ক’জনেরই বা আছে। তা ছাড়া পার্লারে গিয়ে নিয়মিত রূপচর্চার সময় অনেকেই পান না। তাই ঘরে বসেই অ্যান্টি এজিং ভেষজ ফেসিয়াল মাস্ক ঘরেই তৈরি করে নিন। দুর করুন আপনার মুখের বয়সের ছাপের বলিরেখা- 

আরও পড়ুন>>> এক নজরে দেখে নিন যেভাবে নেবেন বিয়ের প্রস্তুতি

যেভাবে তৈরি করবেন ফেসিয়াল মাস্ক____

১. অ্যাভোকোডা ও মধু ফেসমাস্ক স্বাভাবিক/সাধারণ ত্বকের জন্য-

উপকরণ: ২ চামচ মধু, ২ চামচ অ্যাভোকোডা, ১টা ডিমের কুসুম।

পদ্ধতি: সবকটি উপাদান একসঙ্গে নিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করুন বা ভালো করে চটকে মেখে নিন। আপনার পরিষ্কার করে ধোয়া মুখের ত্বকে এই পেস্টটি মেখে অন্তত ২৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসিয়াল মাস্ক আপনার সাধারণ ত্বকে অ্যান্টি-এজিংয়ের কাজ করবে। একই সঙ্গে আপনার ত্বককে উজ্জ্বল করবে ।

২. শুষ্ক ত্বকের জন্য ডিম ও মধুর ফেসমাস্ক-

উপকরণ: একটি ডিমের কুসুম, ১ চামচ দই, ১ চামচ মধু আর আধা চামচ আমন্ড অয়েল।

পদ্ধতি: একটি পাত্রে সবকটি উপাদান একসঙ্গে নিয়ে ভালো করে নাড়তে থাকুন, যতক্ষণ না এটি আঠালো আর গাঢ় হচ্ছে। এবার এই মিশ্রণ মুখে লাগিয়ে অন্তত ১০ মিনিট রেখে সাবান বা ফেশওয়াস দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে নিন। মধু আপনার ত্বক স্নিগ্ধ করবে, আমন্ড আর ডিমের কুসুম ত্বককে মশ্চারাইজ করবে এবং দই ত্বককে পরিশোধিত আর সতেজ করবে।

৩. অয়েলি ত্বকের জন্য মধু ও গাজরের ফেসমাস্ক-

উপকরণ: অর্ধেক গাজর আর আধা চামচ মধু।

পদ্ধতি: গাজর ভালো করে সিদ্ধ করে ব্লেন্ডারে পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার এর সঙ্গে মধু মিশিয়ে মিনিট দশেক ফ্রিজে রেখে দিন। এর পর মুখ ধুয়ে এই পেস্ট আপনার পরিষ্কার করা ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিয়ে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। গাজরে থাকা ভিটামিন এ, সি আর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ত্বককে বুড়িয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করবে। মধুর মধ্যে থাকা ভেষজ উপাদান, এনজাইম আর সুগার ত্বকের লাবণ্য বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।

৪. সংবেদনশীল  অথাৎ সেনসিটিভ ত্বকের জন্য মধু ও কলার ফেসমাস্ক-

উপকরণ: আধা চামচ মধু, একটি পাকা কলা, দুধ দিয়ে সিদ্ধ করা ১ কাপ ওটমিল, একটা ডিম।

পদ্ধতি: সবকটি উপাদান একসঙ্গে নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে আপনার ত্বকে সমান অনুপাতে লাগান। ১০-১৫ মিনিট মাস্কটি রেখে উষ্ণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

ওটমিলে থাকা ভিটামিন ও মিনারেলস-এটি ত্বককে নিখুঁতভাবে পরিষ্কার করে। কলায় থাকা ভিটামিন এ আর ডিমের লিকিথিন ত্বকের ওপর প্রাকৃতিক প্রলেপের কাজ করে, যা ত্বককে বৃদ্ধ হয়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করে। তা ছাড়া মধু ন্যাচারালি ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখে।

৫. সব ধরনের ত্বকের জন্য মধু ও ল্যাভেন্ডার ফেসমাস্ক-

উপকরণ: ১ চামচ মধু, ৩ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার এসেন্সিয়াল অয়েল।

পদ্ধতি: উষ্ণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিয়ে এই দুটি উপাদান ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে ত্বকের ওপর মাস্কের মতো লাগিয়ে নিন। ১৫ মিনিট রেখে আবার উষ্ণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। অ্যান্টি-এজিং ফেসিয়াল মাস্ক হিসেবে এই মাস্কটি সব ধরনের ত্বকের ক্ষেত্রেই খুব উপকারী।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top