চুলের আগা ফাটা দূর করার ঘরোয়া কিছু উপায়
নিশি রহমান | প্রকাশিত: ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০৬:০৮
আপনার অযত্ন, জীবনযাপনে অনিয়ম, দূষণ, রোদ ও ধুলোর মতো বিভিন্ন কারণে চুল ধীরে ধীরে আর্দ্রতা হারিয়ে প্রাণহীন হয়ে যায়। সেখান থেকে শুরু হয় আগা ফাটার সমস্যা।
আরও পড়ুন>>> জেনে নিন ঠোঁটের চামড়া কেন ওঠে
চুলের আগা ফাটার সমস্যা দূর করার জন্য অনেকেই চুল কেটে ফেলেন। নারীদের লম্বা চুলের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। একবার আগা ফাটতে শুরু করলে চুল আর লম্বা হয় না। চলুন জেনে নেওয়া যাক চুলের আগা ফাটা দূর করার ঘরোয়া কিছু উপায়____
ডিমের হেয়ার মাস্ক ব্যবহার: চুলের যত্নে সপ্তাহে অন্তত একদিন হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করুন। এই মাস্ক তৈরি করতে পারবেন ঘরেই। এ ক্ষেত্রে কার্যকরী হলো ডিমের হেয়ার মাস্ক। ডিম রুক্ষ চুলকে ঠিক করতে কাজ করে। সেইসঙ্গে চুলে যোগ করে বাড়তি উজ্জ্বলতা। এটি চুলে প্রয়োজনীয় প্রোটিন এবং ভিটামিন পৌঁছে দেয়। সেইসঙ্গে ঠিক রাখে চুলের আর্দ্রতাও। চুলের আগা ফাটার সমস্যাও থাকে নিয়ন্ত্রণে। চুলে ময়েশ্চারাইজার এবং কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে ডিম। একটি পাত্রে ডিম ফাটিয়ে নিন। এর মধ্যে ২ চামচ অলিভ অয়েল এবং ২ চামচ আমন্ড অয়েল মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণ আপনার চুলে ভালো করে লাগিয়ে নিন। ৩০-৪০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন।
হট অয়েল ট্রিটমেন্ট: অতীতেও চুলে তেলের ব্যবহার ছিল অপরিহার্য। চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণে অলিভ অয়েল অথবা নারকেল তেল গরম করে স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে, চুলের গোড়া থেকে আগার দিকে তেল মালিশ করবেন। খুব জোরে ঘষলে চুলের কিউটিকল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অন্তত এক ঘণ্টা চুলে তেল লাগিয়ে রাখা উচিত।
মরোক্কান অয়েল: চুল নরম ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করতে এই তেল দারুণ কার্যকর। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই, ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬-ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা চুলের জন্য প্রয়োজনীয়। শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহারের পর চুলে তোয়ালে জড়িয়ে রাখুন, যাতে অতিরিক্ত জল শুষে নেয়। অল্প মরোক্কান অয়েল হাতে নিয়ে ভিজে চুলের মাঝামাঝি থেকে ডগা অবধি ম্যাসাজ করুন। প্রতিবার শ্যাম্পু করার পর এভাবে মরোক্কান অয়েল ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।
কলা: কলাকে বলা হয় প্রাকৃতিক কন্ডিশনার। পাশাপাশি এটি চুলের ইলাস্টিসিটি বাড়ায় এবং চুল পড়া রোধ করে। কলা চটকে সরাসরি চুলে লাগানো যেতে পারে। আবার কলা, মধু ও টক দইয়ের পেস্টও ব্যবহার করা যায়।
আর্গান অয়েল: এটি ‘লিক্যুইড গোল্ড’ নামেও পরিচিত। আর্গান বীজ থেকে এই তেল তৈরি করা হয়। ভিটামিন ই, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ফ্যাটি অ্যাসিডসমৃদ্ধ আর্গান অয়েলও চুলের আগা ফাটা রোধ করে। শ্যাম্পু করার পর ভেজা চুলে আর্গান অয়েল লাগালে তা বেশি কার্যকর। যারা ঘন ঘন চুলে হিটিং টুলস বা স্টাইলিং পণ্য যেমন মুজ, জেল বা স্প্রে ব্যবহার করেন, তারা যদি এসব পণ্য ব্যবহার করার আগে বা পরে আর্গান অয়েল ব্যবহার করেন, তাহলে চুলের কম ক্ষতি হয়।
অ্যাভোকাডো প্রোটিন মাস্ক: একটা অ্যাভোকাডো দিয়ে পেস্ট তৈরি করে, এর সঙ্গে একটা ডিম ফেটিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর এতে এমনভাবে অলিভ অয়েল মেশাতে হবে, যাতে এটি কন্ডিশনারের মতো ঘন হয়। মিশ্রণটি চুলে লাগিয়ে ১০-২০ মিনিট রেখে দিতে হবে। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে নিতে হবে।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।