এক কাপ কফিই হতে পারে মন ভালো করার কেন্দ্রবিন্দু 

জাকারিয়া রবিউল  | প্রকাশিত: ১১ এপ্রিল ২০২৩, ২০:০৯

কফি অনেকেরই মন খারাপের ওষুধ। দিনের শুরুতে হোক বা কাজের শেষের সন্ধ্যায়, এক কাপ কফি মনকে চাঙ্গা করে তোলে। এক কাপ কফিই হতে পারে মন ভালো করার কেন্দ্রবিন্দু।

রাজধানীতে বেড়ানোর জায়গা সীমিত। তাই নতুন প্রজন্মের অনেকটা সময় কাটে রেস্টুরেন্ট, ফুড কোর্ট আর কফি শপে। এসব স্থানেই আড্ডায় মেতে ওঠে তরুণ-তরুণীরা। অন্যান্য বয়সের লোকজনকেও অবশ্য দেখা যায় একসঙ্গে কফিতে চুমুক- আর আড্ডায় ডুবে থাকতে।
 
কিছুদিন আগেও ঢাকা শহরে রেস্টুরেন্টের বাইরে আলাদা করে ছিল না চোখে পড়ার মতো কফি শপ। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অভিজাত এলাকার পাশাপাশি রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় গড়ে উঠেছে এ ধরনের দোকান। ইদানিং কালে কফি শপগুলোর ভেতর তো বটেই, সামনের প্রাঙ্গণও মুখরিত থাকতে দেখা যায়। এসব স্থানে কফির স্বাদের সঙ্গে বন্ধুবান্ধব কিংবা স্বজনদের নিয়ে আড্ডায় আনন্দে মেতে ওঠেন সবাই।
 
গুলশান, বনানী, ধানমন্ডি, বারিধারা, মোহাম্মদপুর,মিরপুরের পাশাপাশি উত্তরাতেও গড়ে উঠেছে বেশ কিছু কফি শপ।  তেমনি এক কফি শপ হচ্চে উত্তরার ফার্ষ্ট কাপ কফি ( 1st Cup Coffee )।
 
মঙ্গলবার (২৭ জুন) সেখানে দেখা গেলো মানুষের ভিড়। বিশেষ করে তরুণ-তরুণীরা মেতেছিল আড্ডায়। কফি শপে জায়গার সংকুলান না হওয়ায় অনেকেই কফি হাতে বাইরেই বসে কিংবা দাঁড়িয়ে চুমুক দিয়েছেন, জমিয়েছেন আড্ডা।
 
নতুন প্রজন্মের এই কফি শপে কফির কাপে চুমুক দিতে দিতে গল্প করছিলেন এক দম্পতি ওয়ালিদ রায়হান, শরীয়া রায়হান। তাঁরা কফি শপের সামনের ফুটপাতে আড্ডা দিচ্ছিলেন । কথা হলো তাদের সঙ্গে, ওয়ালিদ রায়হান বলেন, ‘আসন্ন ঈদ উপলক্ষে কেনাকাটা করতে একসঙ্গে বেরিয়েছি।
 
 
কফি শপে বসবো ভেবেছিলাম, কিন্তু ভেতরে জায়গা নেই। তাই ভেতর থেকে কফি নিয়ে এসে এখানেই আড্ডা দিচ্ছি।’ আমরা পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে কিংবা বন্ধুদের সাথে নিয়মিত আসি এখানে। আমি কফি ভালোবাসি রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় কফি খাই তবে এখানের (ফার্ষ্ট কাপ কফি ) র স্বাদ অন্য কোথাও পাইনা তাই দিনে বা রাতে একবার অবশ্যই এখানে আসতেই হয়।
 
সবার হাতে হাতে কফি থাকায় ফুটপাতেও পাওয়া যাচ্ছিল কফির ঘ্রাণ। কফির কাপ হাতে একদল তরুণ তরুণীদের সেলফিও তুলতে দেখা গেছে। 
 
উক্ত কফি শপে ইথিওপিয়া, কলোম্বিয়া এবং ব্রাজিলের আরাবিকা ব্র্যান্ডের কফি বিন দিয়ে তৈরি লাটে, মোকা, আমেরিকানো, ক্যাপাচিনোসহ এসপ্রেসো সহ আরও নানান স্বাদের কফি পাওয়া যায় । কফি শপটিতে ১০ থেকে ২০ জন বসতে পারে। কফি শপের ভেতরে বসার আরামদায়ক ব্যবস্থা থাকলেও অনেক সময় বাইরেও জমে যায় আড্ডা। পরিবার নিয়ে কেউ কেউ রাস্তায় গাড়িতে বসেও কফিতে চুমুক দিতে দিতে গল্প করেন।
এসকে/



পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top