প্রাকৃতিক উপায়ে ঘর ঠান্ডা রাখুন!
রাশেদ রাসেল | প্রকাশিত: ২ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:৩০
ধীরে ধীরে বাড়ছে গরমের তীব্রতা। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি নেই এতটুকু। এমন সময় অনেকেই এসি চালিয়ে রাখেন।
কিন্তু সারাক্ষণ এসি চালিয়ে রাখা যেমন সম্ভব না তেমনি অনেকের বাড়িতেই এসি নেই। এ ক্ষেত্রে সমাধান টানতে পারেন প্রাকৃতিক উপায়ে। কিভাবে প্রাকৃতিক উপায়েই ঘরের ভেতরের আবহাওয়া ঠাণ্ডা রাখতে পারবেন জেনে নিন।
বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জানালা বন্ধ করে পর্দা টেনে দিন
সকালের রোদে তাপ ততটা না থাকলেও দিন গড়াতে থাকলে রোদের তীব্রতাও বাড়তে থাকে।
জানালা বন্ধ করে পর্দা টেনে দিন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে। বিশেষ করে সকাল ১০টার পর থেকে তাপ বাড়তে থাকে। তাই এ সময় জানালা বন্ধ রেখে পর্দা টেনে দিলে ঘরে তাপ ঢুকবে কম। পাখা চলিয়ে রাখলেও আরাম পাবেন।
আবার বিকেলের দিকে জানলা খুলে দিন। মুখোমুখি জানালা থাকলে ঘরে হাওয়া বাতাস চলাচল করবে ভালো।
সুতি বা লিনেনের পর্দা লাগান
সুতির বা লিনেনের মতো প্রাকৃতিক ফ্যাব্রিকের পর্দা এবং বেড শিট ব্যবহার করুন। তা যেন হালকা রঙের হয়। হালকা রঙের চাদর আর পর্দা তাপ প্রতিফলিত করবে, এতে ঘর ঠাণ্ডা রাখতে সুবিধা হবে।
চাদর আর পর্দা বেশি ময়লা হওয়ার আগেই ধুয়ে ফেলুন।
আবছা অন্ধকার ঘর বেশি ঠাণ্ডা হয়
ঘরে আলো কম হলে ঠাণ্ডা ভাব থাকে বেশি। তবে কিছু কাজ রয়েছে যা হয়তো অল্প আলোতে করা সম্ভব না। সে ক্ষেত্রে টিউবলাইটের চেয়ে সিএফএল ল্যাম্পের আলো বেশি ঠাণ্ডা। সম্ভব হলে তা বদলে নিতে পারেন।
ঘরে গাছ রাখুন
ঘরের মধ্যে গাছ রাখলে তা দেখতেও সুন্দর লাগে, তাপও শুষে নেয়। মানিপ্লান্ট, অ্যালোভেরা, স্নেক প্লান্ট, এরিকা পাম ঘরে রাখলে সুন্দর লাগে দেখতে। তবে কারো পরাগরেণুতে অ্যালার্জি থাকলে গাছ রাখার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিন একবার।
রান্না করার সময় এগজস্ট ফ্যান চালু রাখুন
রান্না করার সময় ঘরের ভেতরটা গরম হয়ে যায়। তাই অবশ্যই এগজস্ট ফ্যান চালিয়ে রাখুন। সম্ভব হলে সকাল সকাল রান্না সেরে ফেলুন।
ঘর মুছুন
ঘর,জানলার গ্রিল দিনে দুইবার পানি দিয়ে মুছে রাখলেও ঘরের তাপমাত্রা কমে যায়। ঘর মুছে পাখা চালিয়ে দিন। তার আগেই জানলা বন্ধ করে পর্দা টেনে দিন। ঘর ঠাণ্ডা থাকবে।
খেয়াল রাখুন, যাদের ঘরের দেয়ালের রং হালকা বা সিলিংয়ে সাদা রং লাগানো আছে, তাদের ঘর ঠাণ্ডা রাখাও অপেক্ষাকৃত সহজ। তেমনি যদি আপনার ঘরে পশ্চিমমুখো জানালা বা বারান্দা থাকে, তাহলে বেশি তাপ ঢুকবে।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।