মবন্ধ হয়ে আসা থেকে মুক্তি: অ্যাজমা রোগীদের জন্য খাবারে সতর্কতা জরুরি
নিউজফ্ল্যাশ ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৩:৫১

দমবন্ধ হয়ে আসা, বুকে চাপ, নিশ্বাস নিতে কষ্ট—অ্যাজমা রোগীদের জন্য এগুলো রোজকার ঘটনা। কেউ ধুলাবালি থেকে সাবধান থাকেন, কেউ ঠান্ডা খাবার এড়িয়ে চলেন। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অনেক সময় খাবারের মাধ্যমেও অ্যাজমার উপসর্গ বেড়ে যেতে পারে।
অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক খাবার
অ্যাজমার নির্দিষ্ট কোনো ডায়েট নেই। তবে কিছু ভিটামিন ও খনিজসমৃদ্ধ খাবার শ্বাস-প্রশ্বাস সহজ করে তোলে—
-
ভিটামিন সি: কমলা, স্ট্রবেরি, ক্যাপসিকাম, ব্রোকলি
-
ভিটামিন ই: সূর্যমুখীর বীজ, বাদাম, অ্যাভোকাডো
-
ভিটামিন এ ও বিটা-ক্যারোটিন: গাজর, পালং শাক, মিষ্টি আলু
-
ভিটামিন ডি: ডিম, সালমন মাছ, ফোর্টিফায়েড দুধ ও কমলার রস
-
সেলেনিয়াম: ব্রাজিল বাদাম, মাছ, ডিম
-
ম্যাগনেশিয়াম: ডার্ক চকলেট, কুমড়ার বীজ, অ্যাভোকাডো, টফু
যেসব খাবার এড়িয়ে চলা উচিত
অ্যাজমা থাকলে কিছু খাবার উপসর্গ বাড়াতে পারে। যেমন—
-
সালফাইটযুক্ত খাবার: শুকনো ফল, বোতলজাত লেবুর রস, আচার, ওয়াইন
-
গ্যাস সৃষ্টিকারী খাবার: বাঁধাকপি, পেঁয়াজ, কার্বনেটেড ড্রিংক
-
সালিসাইলেট সংবেদনশীলতায়: কফি, চা, কিছু মশলা
-
প্রক্রিয়াজাত ও ফাস্ট ফুড
-
অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী খাবার: গম, দুধ, সামুদ্রিক মাছ, বাদাম (যদি অ্যালার্জি থাকে)
অ্যাজমা ও ওজনের সম্পর্ক
অতিরিক্ত ওজন বা স্থূলতা ফুসফুসে চাপ সৃষ্টি করে, ফলে শ্বাসকষ্ট বাড়ে। এজন্য—
-
নিয়মিত হালকা ব্যায়াম
-
খাবারে ক্যালরি নিয়ন্ত্রণ
-
পর্যাপ্ত পানি পান ও যথেষ্ট ঘুম জরুরি
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ
-
সবসময় চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত
-
খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তনের আগে ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলা জরুরি
-
ওষুধ কখনোই নিজে থেকে বন্ধ করা যাবে না
-
মনে রাখতে হবে, খাদ্য সহায়ক—অ্যাজমার মূল চিকিৎসা ইনহেলার ও ওষুধই
অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণে রাখতে শুধু ইনহেলার নয়, খেয়াল রাখতে হবে প্লেটের প্রতিও। স্বাস্থ্যকর খাবার ও জীবনযাপন অ্যাজমার ঝুঁকি অনেকটাই কমাতে পারে।
সূত্র: হেলথলাইন
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।