আজ ‘ব্যাচেলর দিবস’
লাইফস্টাইল ডেস্ক | প্রকাশিত: ১১ নভেম্বর ২০২৫, ১৫:২৮
একা থাকার আনন্দ একবার যার জীবনে ঢুকে যায়, সে আর সহজে প্রথাগত প্রেমের বন্ধনে বাঁধা পড়তে চায় না। ব্যাচেলর মানেই নির্বিবাদী, স্বাধীন জীবন—যেখানে নেই সম্পর্কের হিসাব-নিকাশ, নেই নিয়ম করে ফোন বা খুদে বার্তা পাঠানোর চাপ। নিজের মতো করে বাঁচার এই স্বাধীনতাই যেন তাদের জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।
আজ মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে ‘ব্যাচেলর দিবস’। যদিও দিনটি বর্তমানে ‘সিঙ্গেলস ডে’ নামে বেশি পরিচিত, এর সূচনা হয়েছিল মূলত ‘ব্যাচেলর ডে’ নামেই।
সংখ্যায় ১১ নভেম্বর লেখা হয় ১১-১১—যা একক বা একা থাকার প্রতীক হিসেবেই বিবেচিত। তাই দিনটি সিঙ্গেল বা একাকী জীবনের আনন্দ উদযাপনের দিন হিসেবে বিশ্বের নানা প্রান্তে পালিত হচ্ছে।
চীনে দিনটি এখন বাণিজ্যিক উৎসবের রূপ নিয়েছে। এই দিনে সঙ্গীহীন মানুষ নিজেদের জন্য কিংবা প্রিয়জনদের জন্য কেনাকাটা করে উদযাপন করেন একাকিত্বকে। দিনটির সূচনা হয়েছিল চীনের নানজিং বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল শিক্ষার্থীর হাত ধরে।
তারা সবাই প্রেমে ব্যর্থ হলেও জীবনের প্রতি রেখেছিলেন ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি। তাই ভাবলেন—ভালোবাসার মানুষ হারানোর শোক নয়, বরং একা থাকার স্বাধীনতাকে উদযাপন করবেন উচ্ছ্বাসে।
১৯৯৩ সালের ১১ নভেম্বর দিনটি বেছে নেওয়ার পেছনে তাদের যুক্তি ছিল অনন্য—রোমান হরফে ১১-১১ মানে চারটি ‘এক’, যা একদিকে একাকীত্বের প্রতীক হলেও একত্রে দাঁড়ালে তা সম্মিলিত শক্তির প্রতীকও বটে।
ভালোবাসা দিবসের বিপরীতে দাঁড়িয়ে এই দিনটি দ্রুত জনপ্রিয়তা পায় চীনের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে। আনন্দ, উৎসব ও নিজের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশের দিন হিসেবে এখন বিশ্বের অনেক দেশেই সিঙ্গেলস ডে বা ব্যাচেলর ডে উদযাপন করা হয়।
এনএফ৭১/ওতু
বিষয়:

পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।