বিএনপি বা জামায়াতের সঙ্গে জোটে আগ্রহী জাতীয় পার্টি

বিবিসি বাংলা | প্রকাশিত: ১১ নভেম্বর ২০২৫, ১৪:৫৩

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী কিংবা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মতো দলগুলো যখন নির্বাচনী প্রস্তুতিতে ব্যস্ত, তখন ভোটে অংশ নেওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছে আওয়ামী লীগের সাবেক রাজনৈতিক মিত্র জাতীয় পার্টি (জাপা)।

তবে অনিশ্চয়তা সত্ত্বেও দলটি ভেতরে ভেতরে প্রার্থী বাছাই ও নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করেছে। তাদের লক্ষ্য— এককভাবে নয়, বরং জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়া।

জাতীয় পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেছেন,

“জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নিলে জাতীয় পার্টিরও আসন সংখ্যা বাড়বে, তেমনি যে দলের সঙ্গে জোট হবে তাদেরও লাভ হবে।”

তিনি আরও বলেন,

“রাজনীতিতে শেষ বলে কিছু নেই। অনেকে আমাদের সঙ্গে জোটে আগ্রহী, আমরাও আগ্রহী। বিএনপি বা জামায়াত— উভয় দলের সঙ্গেই আলোচনার সুযোগ রয়েছে।”

দলটি জানিয়েছে, ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এর নেতৃত্বে রয়েছেন চেয়ারম্যান জি এম কাদের।
শামীম হায়দার পাটোয়ারীর ভাষায়,

“আমাদের ছক করা আছে, কোন আসনে কে প্রার্থী হতে পারেন। প্রার্থী ঘোষণা করতে বেশি সময় লাগবে না।”

তবে শেষ পর্যন্ত সব আসনে প্রার্থী না দেওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে, যদি জোট গঠন হয়।

জাতীয় পার্টি এখন অভ্যন্তরীণ বিভাজনের সংকটে।
দলটির একাংশ আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বে নতুন কমিটি গঠন করে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধনের দাবি জানিয়েছে এবং লাঙ্গল প্রতীক নিজেদের কাছে রাখার আবেদন করেছে।

অন্যদিকে, জি এম কাদের অংশ বলছে,

“পার্টির নিয়ন্ত্রণ এখনো জি এম কাদেরের কাছেই রয়েছে।”

নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানান,

“জাতীয় পার্টির অভ্যন্তরীণ কোন্দল না মিটলে তাদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়।”

গণঅভ্যুত্থানের পর আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ হওয়ায় জাতীয় পার্টি রাজনীতির মাঠে একপ্রকার কোণঠাসা অবস্থায় রয়েছে।
একাধিক সভা-সমাবেশে পুলিশের বাধা ও সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে।

তবুও দলটি আশাবাদী—
তফসিল ঘোষণার পর রাজনৈতিক পরিবেশ অনুকূলে এলে জোটবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নিতে চায় জাতীয় পার্টি।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top