টিকার ডোজের ব্যবধান কমানোর নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের টিকার দুই ডোজের মধ্যে ব্যবধান আরও কমানো যায় কিনা তা খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোমবার (২৩ আগস্ট) মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী দুই ডোজের ব্যবধান কমিয়ে ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে আনা যায় কি না, সেটা দেখার জন্য নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।

পরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দ্বিতীয় সময়টা একটু কমিয়ে দেওয়া যায় কিনা। এখন আমরা এক মাস দিচ্ছি। এক মাসের পরিবর্তে ১৫ বা ২০ দিন করে দিতে পারি কিনা, এটা বলেছেন। যদি সম্ভব হয় আমরা সেটাও করবো।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক সচিবালয়ে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, 'অন্যান্য দেশে ১৫ দিনের মধ্যে দেওয়া হয়, সেই দেশের রেফারেন্স টেনে বলা হয়েছে। এখন আমরা ডব্লিউএইচও’র সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।'

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশে এখন পর্যন্ত ২১ দফায় ৪ ধরনের (অ্যাস্ট্রাজেনেকা, মডার্না, সিনোফার্ম, ফাইজার) সর্বমোট ৩ কোটি ১১ লাখ ১১ হাজার ৬২০ ডোজ টিকা এসেছে।

সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে এ পর্যন্ত প্রায় ২ কোটি ২৪ লাখ করোনার টিকার ডোজ প্রয়োগ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ডোজ নিয়েছেন ১ কোটি ৬৬ লাখ ৬১ হাজার ৪১২ জন এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৬৫ লাখ ৭৫ হাজার ৪৭৩ জন।

প্রথম ডোজ টিকা গ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ ৯৬ লাখ ৬৬ হাজার ৪৪২ আর নারী ৬৯ লাখ ৯৪ হাজার ৯৭০ জন। দ্বিতীয় ডোজ টিকা গ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষ ৪০ লাখ ৬৮ হাজার ১১৪ আর নারী ২৫ লাখ ৭ হাজার ৩৫৯ জন।

এর মধ্যে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কোভিশিল্ড প্রয়োগ হয়েছে ১ কোটি ১০ লাখ ১৬ হাজার ২২ ডোজ। চীনের সিনোফার্মের টিকা প্রয়োগ হয়েছে ৯৩ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৯ ডোজ। এ ছাড়া ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা প্রয়োগ হয়েছে ৯৪ হাজার ৬৩৮ ডোজ। আর মডার্নার টিকা প্রয়োগ হয়েছে ২৭ লাখ ৯৩ হাজার ৮২৬ ডোজ।

এনএফ৭১/২০২১