কথা বলার জন্য অধীর আগ্রহে চা শ্রমিকরা

চা শ্রমিকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মতবিনিময় সভা আজ

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২৩:০৭

চা শিল্পের ১৬৮ বছরের দাসত্ব জীবন বঞ্চনার করুণ ইতিহাস

ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে শনিবার ( সেপ্টেম্বর) বিকেলে গণভবন থেকে মত বিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এরআগে, ২৭ আগস্ট বিকেলে চা বাগানমালিকদের সঙ্গে গণভবনে বৈঠক করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সময় চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১২০ টাকা থেকে ৫০ টাকা বাড়িয়ে ১৭০ টাকা নির্ধারণ করে দেন তিনি। এতে চা শ্রমিকরা হতাশ হলেও তাদের নেতাদের সিদ্ধান্তে কাজে ফিরে যান।

তবে এবার চা শ্রমিকদের সামনে কথা বলার সুযোগ এসেছে। লাক্কাতুরা চা শ্রমিকরা তাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরবেন চা শিল্পের ১৬৮ বছরের দাসত্ব জীবন বঞ্চনার করুণ ইতিহাস।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক বিজয় হাজরা বলেন, প্রায় ১৭০ বছর ধরে বংশপরম্পরায় চা বাগানে থাকছি কিন্তু ভূমির অধিকার থেকে আমরা বঞ্চিত। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পেলে ভূমির অধিকারসহ ৪-৫টি দাবি উত্থাপন করা হবে।

তিনি আরও জানান, ১০ জন নারী চা শ্রমিককে কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদে নেওয়া হয়েছে। তাদের বক্তব্য শেখানো হচ্ছে।

বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল জানান, প্রধানমন্ত্রী চা শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলবেন শুনে উচ্ছ্বসিত চা শ্রমিকরা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের গুরুত্ব দেয়ায় শ্রমিকরা খুব খুশি।

চা শ্রমিক ইউনিয়ন সিলেট ভ্যালীর সভাপতি রাজু গোয়ালা বলেন, প্রধানমন্ত্রী গুরুত্ব দিয়েছেন বলেই চা শ্রমিকরা নতুন মজুরিতে কাজে গিয়েছে। শ্রমিকরা অনেক খুশি, তারা কথা বলার জন্য অধীর আগ্রহে বসে আছে।

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইং জানায়, শনিবার মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেট ও চট্টগ্রামের চা শ্রমিকদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। গণভবন থেকে বিকাল ৪টায় ভার্চুয়ালি এ সভায় যোগ দেবেন সরকারপ্রধান।

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের পাত্রখলা চা বাগানে আয়োজিত অনুষ্ঠান সফল করতে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। জেলার ৭টি উপজেলার প্রতিটির তিনটি করে স্থানে মোট ২১টি স্থলে বড় প্রজেক্টরের মাধ্যমে মতবিনিময় প্রদর্শন করা হবে।

দেশে নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত মিলিয়ে চা বাগান রয়েছে আড়াইশর কাছাকাছি। এরমধ্যে চা বোর্ডের নিবন্ধিত চা বাগান রয়েছে ১৬৭টি। মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, সিলেট, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটি, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও—এ সাত জেলার মোট ২ লাখ ৭৯ হাজার ৫০৬ দশমিক ৮৮ একর জমিতে গড়ে উঠেছে চা বাগানগুলো। এসব বাগানে শ্রমিকের সংখ্যা দেড় লাখেরও বেশি।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top