• ** জাতীয় ** আমরা জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার হ্রাস করেছি : শেখ হাসিনা ** আবারও তিন দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি ** চুয়াডাঙ্গায় হিট স্ট্রোকে দুই নারীর মৃত্যু ** ইউআইইউ ক্যাম্পাসে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ নিয়ে তোলপাড় সারাদেশ ** সিলেটে মসজিদে যাওয়ার পথে বজ্রপাতে ইমামের মৃত্যু ** নরসিংদীতে হিট স্ট্রোকে যুবকের মৃত্যু ** সব ধরনের সংবাদ জানতে ভিজিট করুন : https://www.newsflash71.com ** সব ধরনের ভিডিও দেখতে ভিজিট করুন : youtube.com/newsflash71 ** লাইক দিন নিউজফ্ল্যাশের ফেসবুক পেইজে : fb/newsflash71bd **


‘দ্বিতীয় বিয়ের’ কাবিননামা দেখাতে পারেননি হেফাজত নেতা মামুনুল হক

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৪ অক্টোবর ২০২২, ০৬:৩৫

হেফাজত নেতা মামুনুল হক

হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতা মাওলানা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলায় আরও দুই পুলিশ কর্মকর্তা আদালতে সাক্ষী দিয়েছেন।

আজ সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। 

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) রকিব উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, ধর্ষণ মামলার আসামি মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সোনারগাঁও থানার দুই এসআইসহ ১৫ জন সাক্ষী দিয়েছেন।

সাক্ষীতে দুই পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন- ঘটনার দিন থানার ডিউটি অফিসারের তথ্যানুযায়ী তারা রয়েল রিসোর্টে যান। সেখানে তারা মামুনুল হক ও মামলার বাদী ওই নারীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে ওই নারী পুলিশকে জানান, মামুনুল হক তাকে বিয়ের কথা বলে ডেকে এনে ধর্ষণ করেছেন।

রকিব উদ্দিন আহমেদ বলেন, দুই পুলিশ কর্মকর্তার সাক্ষী দেওয়র সময় মামুনুল হকসহ তার পক্ষের আইনজীবীরা বিয়ের কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।

মামুনুল হকের আইনজীবী এ কে এম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলায় ছয় পুলিশ কর্মকর্তাসহ আট জনের সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ ছিল। কিন্তু তাদের মধ্যে এসআই কোবায়েদ হোসেন ও বোরহান দর্জি সাক্ষী দিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, তাদের সাক্ষীর সঙ্গে এজাহারের কোনো মিল খুঁজে পাইনি। অনেক এলোমেলো কথা উঠে এসেছে। আদালতে তারা দুজন বলতে পারেননি ওই দিন তারা কেন মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করেননি। বরং তারা বলেছেন সেদিন তাকে গ্রেপ্তার করার মতো কারণ ছিল না।

আদালতে মামুনুল হকের পক্ষে ওই নারীকে বিয়ের কাবিননামা দেখাতে না পারার বিষয়ে এ কে এম ওমর ফারুক নয়ন বলেন, তাদের (মামুনুল হক ও বাদী) ইসলামী নিয়ম অনুযায়ী বিয়ে হয়েছে। আর আদালতে এখনো কাবিননামা দেখানোর সময় হয়নি। যথাযথ সময়ে এ বিষয়ে জবাব দেওয়া হবে।

এরআগে, গত বছরের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ের রয়েল রিসোর্টে মামলার বাদীসহ মামুনুল হককে ঘেরাও করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। পরে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা রিসোর্টে ভাঙচুর চালিয়ে তাকে সেখান থেকে নিয়ে যান।

এরপর ওই বছরের ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁও থানায় মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন তার সঙ্গে থাকা ওই নারী। তখন মামুনুল হক দাবি করেছিলেন, ওই নারী তার দ্বিতীয় স্ত্রী।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top