শান্তিতে পরমাণু শক্তি ব্যবহারের নজির গড়লো দেশ
মন্দায় সুরক্ষিত থাকতে সাশ্রয়ী হতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০২২, ২৩:৫৫
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের পারমাণবিক চুল্লির (নিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টর প্রেসার ভেসেল স্থাপন) উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (১৯ অক্টোবর) গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই কাজের উদ্বোধন করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বাংলাদেশ শান্তির জন্য পারমানবিক শক্তি ব্যবহারে নজির তৈরি করেছে। এই বিদ্যুৎ হবে পরিবেশ বান্ধব। এতে জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব পরবেনা।
সবাইকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে মিতব্যয়ী হওয়ার পরামর্শ দেন শেখ হাসিনা। তিনি জানান, ২০২৩ সালে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হবে। উত্তরবঙ্গের মানুষ এর সুবিধা পাবে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, এই মুহূর্তে বিশ্বের অনেক দেশে খাদ্য নিয়ে হাহাকার শুরু হয়েছে। কিন্তু আমরা আমাদের দেশে খাদ্য নিরাপত্তা দিয়েছি। আমাদের দেশে এখন খাদ্যের জন্য তেমন হাহাকার করতে হয় না।
উত্তরবঙ্গের মানুষের কর্মসংস্থান প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, এক সময় উত্তরবঙ্গে মঙ্গা বা দুর্ভিক্ষ দেখা দিতো। তখন খাদ্য নিয়ে সেসব অঞ্চলে হাহাকার ছিলো। কিন্তু মঙ্গা দূর হয়েছে। এখন তাদের প্রয়োজন কর্মসংস্থান। আমরা সেই লক্ষ্যে বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছি।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান। এ সময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি করপোরেশন রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ।
রূপপুর প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন। কারিগরি ও আর্থিক সহায়তায় রয়েছে রাশিয়া। প্রকল্পের নির্মাণ ব্যয় ১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন ডলার।
এরআগে, ২০২১ সালের ১০ অক্টোবর প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের চুল্লি স্থাপন কাজের উদ্বোধন হয়। এখন পর্যন্ত যার অগ্রগতি হয়েছে ৭০ শতাংশ।
সরকার বলছে, ২০২৩ সালে রূপপুরের ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতার প্রথম ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা যাবে।
২০১৭ সালের নভেম্বরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের মূল স্থাপনা নির্মাণের উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।