পুনরাবৃত্তি না ঘটানোর প্রতিশ্রুতি

সীমান্তে গোলাগুলির উত্তেজনায় মিয়ানমারের দুঃখপ্রকাশ

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৩১ অক্টোবর ২০২২, ০৭:০৪

বিজিবি ও বিজিপির কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক

সীমান্তের দীর্ঘ কাঁটাতারের মাধ্যমে আলাদা হয়েছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। নিশ্চিত করেছে আলাদা দুটি রাষ্ট্রের পরিচয়। সীমান্তে বাংলাদেশ অংশে সবসময় বিরাজ করে শান্তিপূর্ণ অবস্থা।

কিন্তু পাশের দেশ মিয়ানমারে গত ৩ মাস ধরে চলছে গোলাগুলি, যুদ্ধবিমান বা হেলিকপ্টার থেকে গোলা নিক্ষেপ। মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘর্ষে ছোড়া মর্টার শেল ও গুলি বাংলাদেশে এসে পড়ে। এর মধ্যে মর্টারশেল বিস্ফোরিত হয়ে শূন্যরেখায় মারা যান এক রোহিঙ্গা। আর মাইন বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় এক রোহিঙ্গা কিশোরের।

চলমান সমস্যা সমাধানে বিজিবি ও বিজিপির কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে সীমান্তে বিস্ফোরণ ও বাংলাদেশ ভূখণ্ডের ভেতরে গোলা পড়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিজিপি।

রোববার বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন বিজিবি-২ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার।

এসময় তিনি আরও জানান, বৈঠকে বাংলাদেশ সীমানায় গোলা বিস্ফোরণের বিষয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। এ বিষয়ে বিজিপি দুঃখ প্রকাশ করে ভবিষ্যতে এমন ঘটনা আর না ঘটানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

এছাড়া বৈঠকে দুদেশের সীমান্তে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, মাদক চোরাচালান বন্ধসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

তবে বৈঠক নয়, সীমান্তে কোনো রকম উত্তেজনা চান না সীমান্তের বাসিন্দারা। আর নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, দুই রাষ্ট্রের জন্য ভুলবোঝাবুঝি হয় এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার বার্তা দেয়াই হবে পতাকা বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য।

সকাল ১০টায় কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শাহপরীর দ্বীপে বিজিবি ও বিজিপির পতাকা বৈঠক শুরু হয়। এতে নেতৃত্ব দেন বিজিবির লেফটেন্যান্ট কর্নেল শেখ খালিদ মোহাম্মদ ইফতেখার আর বিজিপির লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইয়ে ওয়াই শোয়ে।

এরআগে, সকাল ৯টার দিকে বিজিপির ৭ সদস্যের প্রতিনিধিদলটি শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাটে এলে তাদের অর্ভথ্যনা জানানো হয়।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top