সুষ্ঠু নির্বাচ‌নের আয়োজন করা বাংলাদেশেরই সিদ্ধান্ত

বিরোধী দলের অংশগ্রহণ ছাড়া বাংলাদেশ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সুযোগ হারাবে: তুর্কি রাষ্ট্রদূত

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১৭ নভেম্বর ২০২২, ০৬:০২

মুস্তাফা ওসমান তুরান

মুস্তাফা ওসমান তুরান ব‌লেন, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা বিদেশিদের কোনো বিষয় নয়, এটি সম্পূর্ণভাবে বাংলাদেশের ওপর নির্ভর করে। এটা শুধু বাংলাদেশেরই সিদ্ধান্ত, বিদেশিদের নয়।

রাজ‌নৈ‌তিক দলগু‌লোর ম‌ধ্যে মতপার্থক্য থাক‌তেই পা‌রে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, রাজ‌নৈ‌তিক মত পার্থক্যের সমাধান কর‌তে হ‌লে আলোচনার মাধ্যমে কর‌তে হ‌বে। সরকার একা সব কিছু করতে পারে না।

মোস্তফা ওসমান তুরান বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন এবং গণতন্ত্রের বিকাশ ঘটাতে সরকার ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব রয়েছে।

আমি আশা করি, বিরোধী দল ও ক্ষমতাসীন দল উভয়েই নির্বাচনে অংশ নেবে। এটা সম্ভব হলে আগামী নির্বাচনে বাংলাদেশ আরও শক্তিশালী হবে, যোগ করেন তিনি।

আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের বিষয়ে তুরান বলেন, নির্বাচনী পর্যবেক্ষকরা যদি বস্তুনিষ্ঠ হয় তাহলে তা খুবই সহায়ক। তবে কখনো কখনো নির্বাচন পর্যবেক্ষণ খুবই সীমিত ও কখনো কখনো পর্যবেক্ষকদের রাজনৈতিক বিবেচনা সমস্যার কারণ হতে পারে।

আজ বুধবার দুপুরে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘মিট দ্য অ্যাম্বাসেডর’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ঢাকায় নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান।

এদিকে, গেল সোমবার সিজিএস আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসে ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেছিলেন, নির্বাচন নিয়ে বৈশ্বিক মতামতের একটা গুরুত্ব আছে। জাপান ২০১৮ সালের নির্বাচনের পরপর উদ্বেগ জানিয়েছিল। আমরা নির্বাচনের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভরে রাখার কথা শুনেছি, যা পৃথিবীর আর কোথাও শুনিনি। আমি আশা করব, এবার তেমন সুযোগ থাকবে না বা এমন ঘটনা ঘটবে না। 

ইতো নাওকির ওই বক্তব্যের জন্য তার কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহ‌রিয়ার আলম। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক‌টি বেসরকা‌রি টে‌লি‌ভিশ‌নের স‌ঙ্গে আলাপকা‌লে তিনি বলেন, রাষ্ট্রদূ‌তের বক্তব্য অনাকাঙ্ক্ষিত। ওই বক্তব্যের জন্য জাপানের রাষ্ট্রদূতের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে।

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top