বুদ্ধিজীবী হত্যা

ঘাতকদের বিচারের আশায় বুদ্ধিজীবীর সন্তান

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর ২০২২, ০৪:০২

আসিফ মুনীর তন্ময় ও শমী কায়সার

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর রাত। একযোগে বহু বুদ্ধিজীবীকে তাদের বাসা থেকে তুলে নিয়ে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত হন ঘাতক দালালরা। যারা প্রবাসে এখনো পালিয়ে আছেন। তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে বলে আশা করেছেন শহীদ বুদ্ধিজীবীর সন্তানেরা।

বুধবার ভোরে রাজধানীর মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানায় শহীদ বুদ্ধিজীবীর সন্তানদের সংগঠন প্রজন্ম-৭১। শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর ছেলে আসিফ মুনীর তন্ময় ও শহীদুল্লা কায়সারের মেয়ে শমী কায়সার পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

আসিফ মুনীর তন্ময় বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রকাশ হলেও এখনও অনেক বুদ্ধিজীবীর নাম তালিকাভুক্ত হয়নি। এখনও সেই শহীদ পরিবারের সন্তানেরা তাকিয়ে আছে হয়ত তার বাবা বা স্বজনের নামটি সরকারি তালিকাভুক্ত হবে। যুদ্ধাপরাধীদের মধ্যে এখনো যারা বিদেশে পালিয়ে আছেন বা বুদ্ধিজীবী হত্যার কুশীলব ছিলেন, তাদের বহুজনকে এখনো বিচারের আওতায় আনা যায়নি। আমরা বিশ্বাস করি, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, সেই ধারাবাহিকতায় পালিয়ে থাকা ঘাতক দালালদেরও বিচার হবে।

মুক্তিযুদ্ধের সময় কতজন বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করা হয়েছে তার সঠিক হিসাব পাওয়া যায়নি। তবে বিভিন্ন পরিসংখ্যানে এ সংখ্যা এ রকম : শিক্ষাবিদ ৯৯১, সাংবাদিক ১৩, চিকিৎসক ৪৯, আইনজীবী ৪২, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, শিল্পী এবং প্রকৌশলী ১৬।



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top