তালিকায় হ্যাভিওয়েটদের নাম
কে হচ্ছেন দেশের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি? চলছে তুমুল আলোচনা
রাজিউর রেহমান | প্রকাশিত: ১৫ জানুয়ারী ২০২৩, ০৯:১৮
বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি কে হচ্ছেন তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে চলছে নানা আলোচনা। আলোচিত হচ্ছে হ্যাভিওয়েটদের কয়েকজনের নাম। রাজনীতি সচেতন সবার মধ্যেই বিষয়টি নিয়ে জানার আগ্রহ বাড়ছে। সময় যত এগিয়ে আসছে এই পদটি নিয়ে আলোচনাও তত বাড়ছে।
২৩ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তিনি দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রপতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল দেশের ২০তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে শপথ নেন আবদুল হামিদ। রাষ্ট্রপতি হিসেবে সফলতার সঙ্গে পাঁচ বছর দায়িত্ব পালনের পর তিনি ২০১৮ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে দেশের ২১তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন।
সংবিধান অনুযায়ী একজন রাষ্ট্রপতি দুই মেয়াদের বেশি দায়িত্ব পালণ করতে পারবে না। সংবিধানের ৫০ অনুচ্ছেদ বলছে, একজন রাষ্ট্রপতি কার্যভার গ্রহণ থেকে পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন। ৫০(৩) অনুচ্ছেদ বলছে, একাধিক হোক বা না হোক দুই মেয়াদের অধিক রাষ্ট্রপতি পদে কোনো ব্যক্তি অধিষ্ঠিত থাকতে পারবেন না।
রেওয়াজ অনুযায়ী ক্ষমতাসীন দল আস্থাভাজনদের মধ্য থেকে কাউকে রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দেয়। বিষয়টি নিয়ে সরকারের উচ্চ মহলে আলোচনা হয়। যেহেতু জাতীয় সংসদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা আওয়ামী লীগের, ফলে ক্ষমতাসীন দলই রাষ্ট্রপতি হিসেবে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেবে। যদিও শেষ সিদ্ধান্ত দেবেন প্রধানমন্ত্রী ও দলের প্রধান শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন>>>ঢাকায় পৌঁছেছেন মার্কিন সহকারি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু
এদিকে, রাজনৈতিক অঙ্গনে পরবর্তী রাষ্ট্রপতি কে হতে পারেন এ ধারণার ওপর বেশ কয়েকজনের নাম উচ্চারিত হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছেন স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শাহাবুদ্দিন চুপ্পুসহ বঙ্গবন্ধুকন্যার আস্থাভাজন কয়েকজনের নাম। এরমধ্যে শাহাবুদ্দিন চুপ্পুর নাম আলোচনায় ছিল প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে। কিন্তু ওই পদে বসছেন সদ্য বিদায়ী ক্যাবিনেট সচিব কবির বিন আনোয়ার। ফলে বিকল্প কোনো জায়গায় তার স্থান হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অপরদিকে, মতিয়া চৌধুরীর নামও উচ্চারিত হচ্ছে। বিকল্প হিসেবে তিনি সংসদের উপনেতা হিসেবেও আসতে পারেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো কিছুই চূড়ান্ত নয়। সবই অনুমান নির্ভর আলোচনা।
সরাসরি ভোটে নির্বাচিত নন রাষ্ট্রপতি। তিনি মূলত সংসদ সদস্যদের ভোটে নির্বাচিত হন। এ লক্ষ্যে তফসিল ঘোষণাসহ এই নির্বাচন পরিচালনা করে নির্বাচন কমিশন। আর সিইসি রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন।
আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, সামনের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে যেকোনো সংকট তৈরি হলে সাহসিকতা, দক্ষতা ও বিশ্বস্ততার সঙ্গে যিনি সংকট থেকে উত্তরণে অবস্থান নিতে পারবেন, তেমন কাউকেই এ পদে বসাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনেক কিছু বিবেচনা করেই রাষ্ট্রপতি পদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি। তিনি বিশ্বস্ত, দলের আদর্শের প্রতি দায়বদ্ধ ও অনুগত ব্যক্তিকেই বিবেচনা করবেন।প্রধানমন্ত্রী নিজেও বিভিন্ন ব্যক্তির মতামত নিচ্ছেন। এ ব্যাপারে তিনিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।