রাবির মূল ফটকে শিক্ষার্থীরা, ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক বন্ধ

রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ১২ মার্চ ২০২৩, ২১:০৯

বিক্ষোভে উত্তাল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) সংলগ্ন বিনোদপুর এলাকায় স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী আহতের ঘটনায় আজও বিক্ষোভে উত্তাল বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা।রোববার দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়েছেন বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভকারীদের হাতে লাঠি ও রড দেখা যায়। এসময় গাছের গুড়ি ফেলে রাস্তা অবরোধ করেন তারা।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনের অবস্থান নিয়ে রাস্তার ওপর ইট রেখে এবং আগুন জ্বালিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে তারা একটি ব্যানারে ‘সন্ত্রাসী, ছিনতাই ও বর্বরদের কোনও ছাড় নয়’, ‘জেগেছে রে রাবিয়ান, এবার হবে অ্যাকশন’ লেখা ফেস্টুন প্রদর্শন করেন। এ সময় কিছু শিক্ষার্থীর হাতে লাঠিসোঁটাও দেখা যায়। সড়কের একপাশে অবস্থান করছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

এরআগে, বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল সড়কগুলো প্রদিক্ষণ করে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

শনিবার বিকেলে বগুড়া থেকে ‘মোহাম্মদ’ নামের একটি বাসে রাজশাহী আসছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের এক শিক্ষার্থী। বাসের সিটে বসাকে কেন্দ্র করে চালক শরিফুল ও তার সহযোগী রিপনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় ওই শিক্ষার্থীর। সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিনোদপুর বাজারে বাস থেকে নামার সময় তাদের মধ্যে আবারও কথা কাটাকাটি হয়। এসময় বিনোদপুর বাজারের এক ব্যবসায়ী বাসচালকের পক্ষ নিয়ে কথা বলেন। তখন শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হাতাহাতি হয় তার।

খবর পেয়ে সেখানে যান বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া। এসময় ব্যবসায়ীরা তার মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। ধাওয়া দিয়ে তাকে ক্যাম্পাসের ভেতরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। এতেই বড় হয় ঘটনাটি।

সাধারণ শিক্ষার্থীরা আবাসিক হল থেকে বের হয়ে বিনোদপুর গেটের পাশে অবস্থান নেন। আর ব্যবসায়ীরা অবস্থান নেন রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে বিনোদপুর বাজারে। এক পক্ষ আরেক পক্ষকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এতে আহত হন অনেক শিক্ষার্থী। ব্যবসায়ীদের মধ্যেও আহত হন অন্তত ১০ জন। এদিকে, বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ। তবে রাত ১০টার পর ফের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের বাইরে বেরিয়ে পড়েন। এসময় তারা বিক্ষোভ করেন।

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top