শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা আজ

রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ৪ মে ২০২৩, ১৮:৩৩

ছবি: সংগৃহীত
  • হাইলাইটস
  • গৌতম বুদ্ধ রাজপুত্র হলেও সমস্ত বিলাসিতা ত্যাগ করেন
  • তিনি মানুষকে মানুষ এবং প্রাণীকে প্রাণিরূপেই মূল্যায়ন করতেন
  • ‘সবেব সত্তা ভবন্তু সুখীতত্তা, জগতের সব প্রাণী সুখী হোক’ ছিল তার মর্মচেতনা

দেশের বৌদ্ধ সম্প্রদায় তাদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা সাড়ম্বরে উদযাপন করছে। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন। বাণীতে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মৈত্রীময় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান তারা।

বৃহস্পতিবার (৪ মে) বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে দিনের শুরুতে শান্তি শোভাযাত্রা ও বৌদ্ধ মঠ ও মন্দিরগুলোতে দিনব্যাপী প্রদীপ প্রজ্বলন, পূজা ও প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। রাজধানীসহ দেশজুড়ে বৌদ্ধ বিহারগুলোতে ধর্মীয় আলোচনা সভা, প্রভাত ফেরি, সমবেত প্রার্থনা, আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

আজ থেকে প্রায় সাড়ে ২৬শ বছর আগে মহামানব যিশু খ্রিষ্টের জন্মেরও সোয়া ৬শ বছর আগে জন্মগ্রহণ করেন গৌতম বুদ্ধ। বৌদ্ধ ধর্ম মতে, খ্রিস্টপূর্ব ৬২৩ অব্দে গৌতম বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেন। ৫৮৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তিনি সাধনায় সিদ্ধিলাভ করেন। ৫৪৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দে তিনি পরিনির্বাণ লাভ করেন। সিদ্ধার্থের বুদ্ধত্বলাভের মধ্য দিয়েই বৌদ্ধ ধর্ম প্রবর্তিত হয়।

গৌতম বুদ্ধ রাজপুত্র হলেও সমস্ত বিলাসিতা ত্যাগ করেন। সংসারের মায়া তাকে আবদ্ধ করতে পারেনি। তার কাছে জাতি, শ্রেণি ও গোত্রের কোনও ভেদাভেদ ছিল না। তিনি মানুষকে মানুষ এবং প্রাণীকে প্রাণিরূপেই মূল্যায়ন করতেন।

‘সবেব সত্তা ভবন্তু সুখীতত্তা, জগতের সব প্রাণী সুখী হোক’ ছিল তার মর্মচেতনা। এই চেতনা জাগ্রত করতে সত্যের সন্ধানে পরিভ্রমণ করতে করতে একসময় তিনি গয়ার উরুবেলায় (বুদ্ধগয়া) গিয়ে নিবিষ্টচিত্তে সাধনামগ্ন হন। দীর্ঘ ছয় বছর অবিরাম সাধনায় তিনি লাভ করেন সম্যক সম্বুদ্ধ বা বুদ্ধত্ব।

সেদিনও ছিল বৈশাখ মাসের পূর্ণিমা তিথি। দীর্ঘ ৪৫ বছর তিনি প্রাচীন ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল পরিভ্রমণ করে তার এই ধর্মতত্ত্ব প্রচার করেন। ৮০ বছর বয়সে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন গৌতম বুদ্ধ, আর সিটিও ছিলে বৈশাখ মাসের পূর্ণিমার দিনে।

বৈশাখের পূর্ণিমা তিথিতে এ পুণ্য উৎসবে বৌদ্ধ ধর্মের অনুসারীরা স্নানের পর শুচিবস্ত্র পরিধান করে মন্দিরে বুদ্ধের বন্দনায় রত থাকেন। অর্চনার পাশাপাশি তারা পঞ্চশীল, অষ্টশীল, সূত্রপাঠ, সূত্রশ্রবণসহ প্রার্থনা করেন। আজ সরকারি ছুটি। 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top