প্রয়োজনে নুরকে বহিষ্কারের ঘোষণা রেজা কিবরিয়ার
বিএনপি ভেঙে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্নে বিভোর রেজা কিবরিয়া : নূর
রাজিউর রেহমান | প্রকাশিত: ২০ জুন ২০২৩, ২১:৪৭
দলের কর্তৃত্ব নিয়ে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া ও সদস্যসচিব নুরুল হক নূরের মধ্যে মতবিরোধ প্রকাশ্যে রূপ নিয়েছে। দুই নেতা ফেসবুক ও গণমাধ্যমে পরস্পরবিরোধী বক্তব্যও দিয়েছেন। তারা একে অপরের বিরুদ্ধে আর্থিক ও রাজনৈতিক অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলেছেন।
এরইমধ্যে রেজা কিবরিয়াকে সরিয়ে দলটির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক করা হয়েছে রাশেদ খানকে। গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পূর্বনির্ধারিত কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
তবে গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক পদে অন্য কাউকে দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্তকে অবৈধ বলে মনে করেন রেজা কিবরিয়া। তিনি আশা করেন, নির্বাচন কমিশন তাঁর নামেই দল নিবন্ধন দেবে।
সোমবার (১৯ জুন) দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে দুই নেতা বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন। বৈঠক থেকে বের হয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তোলেন। দুই নেতা একে অপরের বিরুদ্ধে আগামী সংসদ নির্বাচন ঘিরে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনেন।
সম্প্রতি ফরহাদ মজহার ও শওকত মাহমুদের ইনসাফ কায়েম কমিটির আলোচনাসভায় অংশগ্রহণ করায় রেজা কিবরিয়ার ওপর ক্ষুব্ধ হন নূর ও তাঁর অনুসারীরা। নূরের দাবি, ইনসাফ কায়েম কমিটি সরকারি সংস্থা দ্বারা পরিচালিত। এই কমিটির বৈঠকে যাওয়া নিয়ে বিএনপির আপত্তি আছে।
রেজা কিবরিয়া পাল্টা নুরের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ তুললে দুই নেতা বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন। রেজা কিবরিয়া বলেন, ইসরায়েলি এজেন্ট মেন্দি সাফাদির সঙ্গে নুরের বৈঠক দেশদ্রোহিতার মধ্যে পড়ে।
এ বৈঠকের কারণ জানতে চাওয়া হলে তিনি কোন সদুত্তর দেননি। বিদেশ থেকে তাঁর নামে টাকা আসে। কিন্তু দল চালাতে তিনি কোনো টাকা দেন না। এক পর্যায়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হলে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।