প্রতীক্ষার পালা শেষ
পদ্মাসেতুতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল শুরু
শাকিল খান | প্রকাশিত: ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৮:২৩
পদ্মা বহুমুখী সেতুতে সড়ক ও রেল একই সঙ্গে চলাচলের কথা ছিল। কিন্তু সড়ক অংশ চালু হলেও উদ্বোধন হয়নি রেল চলাচলের। এবার পূর্ণতা পাচ্ছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের সেই স্বপ্নেরও।
আজ রাজধানীর কমলাপুরের ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন থেকে পরীক্ষামূলক ট্রেনটি পদ্মা সেতু পার হয়ে ছুটে চলবে ভাঙ্গা রেল স্টেশনে। আর আগামী ১০ অক্টোবর ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ভাঙ্গা পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে রেল চলাচল শুরু হবে। ঐ দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন এই রেলপথের উদ্বোধন করবেন।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের প্রকৌশলী সিবলি সাদিক জানিয়েছেন, ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত পাঁচটি স্টেশনই এখন প্রায় প্রস্তুত। খুঁটিনাটি যে কাজ বাকি আছে তা প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের আগেই শেষ হয়ে হবে।
সূত্র জানায়, প্রতিটি স্টেশনেই থাকছে এটিএম বুথ, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য থাকছে বিশেষ র্যাম্প। ৮২ কিলোমিটার রেলপথের ২৩.৩৭ কিলোমিটার অংশ ভায়াডাক্টের ওপর। ভায়াডাক্ট ও পদ্মা সেতুর ওপর পাথরবিহীন রেলপথ নির্মাণ করা হয়েছে।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত প্রায় ১৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন রেলপথ নির্মাণ করছে রেলওয়ে। আগামী বছর জুনে যশোর পর্যন্ত রেল চালুর লক্ষ্য ঠিক করেছে সরকার।
রেল সূত্র জানায়, চীন থেকে যে নতুন ১০০ বগি কেনা হচ্ছে, তার আটটি দিয়ে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ট্রেনের পরীক্ষামূলক যাত্রা হবে। তবে ট্রেনটি চলবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা ইঞ্জিনে।
প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করার সপ্তাহখানেক পর থেকে এ রুটে বাণিজ্যিক ট্রেন চলাচল শুরু হতে পারে। শুরুতে পদ্মা সেতুতে দিনে একটি ট্রেন চলতে পারে রাজবাড়ী পর্যন্ত। ভাঙ্গা-রাজশাহী রুটের ‘মধুমতি এক্সপ্রেস’ ঢাকা পর্যন্ত আনা হতে পারে পদ্মা সেতু হয়ে।
২০২৪ সালের জুনে যশোর পর্যন্ত পুরো প্রকল্প উদ্বোধন হবে। এ বছর চালু হবে ফরিদপুরের ভাঙ্গা জংশন পর্যন্ত। পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের মাধ্যমে ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত প্রায় ১৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ নতুন রেলপথ নির্মাণ করছে রেলওয়ে। এর মধ্যে ঢাকা থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৮২ কিলোমিটার রেলপথ চালু হচ্ছে। আগামী বছর জুনে যশোর পর্যন্ত রেল চালুর লক্ষ্য ঠিক করেছে সরকার।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।