রাজধানীতে বিজিবি মোতায়েন

পুলিশ- বিএনপি সংঘর্ষে রণক্ষেত্র কাকরাইল, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর ২০২৩, ১৮:০০

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর পল্টনে মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে পুলিশ ও বিএনপির নেতাকর্মীরা। বিজয়নগর পানির ট্যাংকির কাছে টায়ারে আগুন লাগিয়ে কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করেন বিএনপি কর্মীরা। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়েছে পুলিশ। শনিবার (২৮ অক্টোবর) দুপুর ২টার পর পল্টন-বিজয়নগর এলাকায় দেখা যায় এমন চিত্র।

এছাড়া, কাকরাইলে বিএনপি-পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বেশ কয়েকটি স্থানে আগুন দেওয়া হয়েছে। এসময় প্রধান বিচারপতির বাসভবনের গেটেও ভাঙচুর চলে। কাকরাইল অডিট ভবনের সামনে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিস। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মাঠে নেমেছে বিজিবিও।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিএনপি নেতা-কর্মীরা কাকরাইল মোড় থেকে মিন্টু রোডের কাছাকাছি থাকা যাত্রীবাহী বাস ভাঙচুর করলে পুলিশ অ্যাকশনে যায়। ওই সময় বিএনপিকর্মীদের সরিয়ে দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ, টিয়ার গ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে।

বিএনপি নেতারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। আর পুলিশ বিএনপি নেতাদের ছত্রভঙ্গ করতে সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল ছুড়ে। সেই সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা কাকরাইল মসজিদের সামনের পুলিশ বক্স ভাঙচুর করে সেখানে আগুন দেয়।

অন্তত ৪০টিরও বেশি গ্রেনেডের শব্দ পাওয়া গেছে। সাউন্ড গ্রেনেড ও টিয়ারশেল ছুড়লে বিএনপির নেতাকর্মীদের একটি অংশ পল্টনের দিকে, কিছু মৎস্য ভবনের দিকে চলে যায়। পরে পুলিশ উল্টো দিক থেকেও টিয়ারশেল ছুড়তে ছুড়তে এগোয়। বর্তমানে কাকরাইল মসজিদের সামনে কেউ নেই।

এদিকে বায়তুল মোকাররম জামে মসজিদের দক্ষিণ গেটে সমাবেশ করছে আওয়ামী লীগ। সেখানে যোগ দিতে আসা আসা আওয়ামী নেতা-কর্মীদের বহনকারী বাস ও পিকআপে বেলা ১২টারা দিকে হামলা চালায় বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় মারমুখী বিএনপির কর্মীরা একজনকে পিটিয়ে মাথা থেঁতলে দেয়।

বিএনপির নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়ে বাসটি ভেঙে ফেলে। এরপর কাকরাইল মোড়ে পুলিশ ব্যারিকেড দিতে গেলে তা ভেঙে ফেলে বিএনপির নেতা-কর্মীরা।

এরপর পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে তারা। বিএনপি নেতা-কর্মীরা ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স (আইডিবি) ভবনে ঢুকে পড়ে। সেখানে রাখা কয়েকটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। কাকরাইল মোড়ের ট্র্যাফিক পুলিশ বক্স আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয় বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের সেল ছোড়ে পুলিশ।

কাকরাইলে সংঘর্ষের মধ্যেই সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ চালিয়ে যাচ্ছিল বিএনপি। কয়েকটি ট্রাকের ওপর মঞ্চ বানিয়ে বিএনপির নেতারা বক্তব্য শুরু করেন। সংঘর্ষে জড়ানোর পর বেলা তিনটার দিকে সমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়।

 

 

 

 

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top