অর্থনৈতিক লক্ষ্য অর্জনে সহযোগিতা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যুক্তরাষ্ট্র
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের চিঠি
RAJIUR RAHMAN | প্রকাশিত: ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, ১৪:৫৪
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি পাঠিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
রবিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) ওই চিঠি মার্কিন দূতাবাসের মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ‘খালি চোখে’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ‘সহযোগিতা বাড়াতেই’ চিঠি দিয়েছেন মনে হলেও সাবেক কূটনীতিকরা মনে করেন— চিঠির মূল বক্তব্য হচ্ছে, বাংলাদেশের সঙ্গে আরও বেশি রাজনৈতিক সম্পর্ক তৈরি করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে আরও মনোযোগী হওয়ার জন্য শেখ হাসিনাকে তাগাদা দিয়েছেন জো বাইডেন।
বোরবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রোববার ঢাকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠিটি পৌঁছে দিয়েছে। চিঠিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট লিখেছেন, যখন আমরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশের অংশীদারিত্বের পরবর্তী অধ্যায় শুরু করছি, তখন আমি আমার প্রশাসনের পক্ষ থেকে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, জলবায়ু পরিবর্তন, জ্বালানি, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, মানবিক সহায়তা, বিশেষ করে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য, এ ছাড়াও অন্যান্য বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করতে চাই।
বাইডেন বলেন, আমাদের দীর্ঘ দিনের সাফল্যসমণ্ডিত ইতিহাস রয়েছে এবং সমস্যা সমাধানে একসঙ্গে কাজ করেছি। আমাদের দুই দেশের জনগণের বন্ধন আমাদের সম্পর্কের মূল ভিত্তি।
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক লক্ষ্যর অর্জনে সহযোগিতার কথা উল্লেখ করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রধানমন্ত্রীকে লিখেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উচ্চাভিলাষী অর্থনৈতিক লক্ষ্যকে সমর্থন করতে এবং একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য আমাদের যৌথ ভিশনে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক পররাষ্ট্র সচিব ও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু চেয়ার শহীদুল হক বলেন, এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতা রক্ষায় বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, আঞ্চলিক নিরাপত্তা রক্ষায় বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম। এই প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের যে বড় লক্ষ্য আছে, তা অর্জনে বাংলাদেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে চাইবে তারা, এটি স্বাভাবিক।
তিনি আরও বলেন, একই সঙ্গে মনে রাখতে হবে— সম্পর্ক রক্ষার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব কিছু নীতি আছে এবং সেটি তারা মেনে চলার চেষ্টা করে। ওই নীতিগুলোর মধ্যে নাগরিক অধিকার সংক্রান্ত বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ এবং সেগুলো তাদের পররাষ্ট্র নীতির মূল কাঠামোর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।