স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইয়ে যা লিখলেন রাষ্ট্রপতি

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২৬ মার্চ ২০২৪, ১৩:১০

ছবি: সংগৃহীত

দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর মহামান্য রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন মঙ্গলবার সর্বপ্রথম জাতীয় স্মৃতিসৌধে যান। সেখানে তিনি মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে রাষ্ট্রপতি জাতীয় স্মৃতিসৌধের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে পরিদর্শন বইয়ে এ মন্তব্য করে সই করেন তিনি।

রাষ্ট্রপতি লিখেছেন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে আমি দেশে ও প্রবাসে বসবাসরত সব বাংলাদেশিকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন। ঐতিহাসিক এ দিনে আমি পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। আমি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠন ও সমর্থক, বিদেশি বন্ধু এবং সর্বস্তরের জনগণকে, যারা আমাদের অধিকার আদায় ও মুক্তি সংগ্রামে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে অবদান রেখেছেন। আমি পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি ১৫ আগস্ট কালরাতে খুনিদের বুলেটের আঘাতে শহীদ বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ও বঙ্গবন্ধুর তিন পুত্রসহ সব শহীদকে। আমি তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।

তিনি আরও লিখেছেন, স্বাধীন-সার্বভৌম ‘সোনার বাংলা’র স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে দুর্বার গতিতে অগ্রসরমান। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে ইতোমধ্যে আমরা উন্নয়নশীল দেশের কাতারে অবস্থান করে নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ‘রূপকল্প ২০৪১’ অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করতে জনমুখী ও টেকসই উন্নয়ন, সুশাস, সামাজিক ন্যায়বিচার, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন লিখেছেন, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে পরমত সহিষ্ণুতা, মানবাধিকার ও আইনের শাসন সুসংহত করতে হবে। প্রত্যেক নাগরিককে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অধিকতর দায়িত্বশীল ও কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও চেতনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনা বাংলা বিনিময়ে কার্যকর অবদান রাখতে আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে এবং উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ হিসেবে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে, প্রতিষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা - ইনশাআল্লাহ।

জয় বাংলা। খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।

 



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top