ছাত্ররাজনীতি থাকবে কিনা, বুয়েট কর্তৃপক্ষকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে: গয়েশ্বর
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১ এপ্রিল ২০২৪, ১৬:৫৪
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, মেধাবী সন্তানদের লেখাপড়ার স্বার্থে ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ রাখবে কিনা এ সিদ্ধান্ত বুয়েট কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।
নাটোরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হামলায় গুরুতর আহত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক দেওয়ান শাহীনের চিকিৎসার খোঁজখবর নেওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ছাত্ররাজনীতি চাই তো, আমরাও ছাত্ররাজনীতি করে এই পর্যন্ত এসেছি। ছাত্ররাজনীতি তো বাধা না। একটি শিক্ষাঙ্গনে একদলীয় ছাত্রসংগঠন, তাদের নানা ধরনের নারী ধর্ষণ-নির্যাতন-অত্যাচার, ভিন্নমতের ছাত্রসংগঠনকে থাকতে না দেওয়া এবং নৃশংসভাবে বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরারকে হত্যা করা হয়।
এর প্রতিবাদে শুধু ছাত্ররা না, দেশের সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক দল ফুঁসে উঠে। তখন বুয়েট কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, বুয়েটে কোনো রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন থাকবে না। যার পরিপ্রেক্ষিতে বুয়েট এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা এখনো বলবৎ আছে কি না, সেই আশঙ্কা আছে কি না- সার্বিক দিক বিবেচনা করে বুয়েটকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে ছাত্ররাজনীতি থাকবে কি না।
তিনি আরও বলেন, বুয়েট কর্তৃপক্ষ যদি মনে করে, ক্যাম্পাসের পরিবেশ শান্ত রাখা এবং মা-বাবার মেধাবী সন্তানরা যারা এখানে লেখাপড়া করে তাদের লেখাপড়ার স্বার্থে বুয়েট কর্তৃপক্ষ সেখানে রাজনীতি বিরত রাখবে-এটা তাদের সিদ্ধান্ত।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, আমি মনে করি, বুয়েটের অবস্থার চেয়েও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্বিবিদ্যালয়ের অবস্থা আরও শোচনীয়। সেখানে ধষর্ণের সেঞ্চুরি পার করেছিল ছাত্রলীগ নেতা মানিক। এর চেয়ে ঘৃণিত আর কী হতে পারে? আসলে তারা কোনো কলঙ্কে কলঙ্কিত না। আমরা যতই তাদের কলঙ্কিত মনে করি, তারা তত অলংকৃত হয়। এর একটি কারণ পেশীশক্তির ব্যবহার এবং প্রশাসনের দলীয় কর্মী হিসেবে রাজনীতি ধ্বংস করা।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।