চারুকলায় মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি কতদূর?

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২ এপ্রিল ২০২৪, ১২:১২

ছবি: সংগৃহীত

দরজা কড়া নাড়ছে বাঙালির প্রাণের উৎসব বাংলা নববর্ষ ১৪৩১। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই আসছে বাঙালির সবচেয়ে বড় সার্বজনীন উৎসব বাংলা নববর্ষ।  চারুকলা শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা দিন-রাত এক করে জোরেশোরে চালিয়ে নিচ্ছেন মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতি পর্বের কাজ।

সোমবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা প্রাঙ্গণে ছবি এঁকে এবারের শোভাযাত্রার প্রস্তুতি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ইমেরিটাস অধ্যাপক শিল্পী হাশেম খান। এর মধ্য দিয়ে বাঙালির সর্বজনীন উৎসবে পরিণত হওয়া পহেলা বৈশাখের প্রধান আকর্ষণ মঙ্গল শোভাযাত্রার প্রস্তুতির কর্মযজ্ঞ, যা চলবে চৈত্রসংক্রান্তি পর্যন্ত। প্রথম বারের মতো এবারের প্রতিপাদ্য কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতার পঙক্ত ‘আমরা তো তিমির বিনাশী’।

এ বছর অনুষদের ২৫তম ব্যাচ দায়িত্ব পেয়েছে। বিভিন্ন মোটিফে সজ্জিত থাকছে এবারের মঙ্গল শোভাযাত্রা। টেপা পুতুল, হাতি, গন্ধগোকুল, চাকার একটি ডেকোরেটিভ ডিজাইন—এই চার স্ট্রাকচার এবারের শোভাযাত্রায় স্থান পেতে যাচ্ছে।

পুরো আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রাপ্ত বরাদ্দ এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের তৈরি সরা, মুখোশ ও পেইটিং বিক্রি করে শোভাযাত্রার খরচ বহন করা হয়। এ বছর আনুমানিক ১২ লাখ টাকা বাজেট ধরা হয়েছে।

১৯৮৯ সালে চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে প্রথমবারের মতো বের হয় মঙ্গল শোভাযাত্রা। শুরুর বছরেই তা সাধারণ মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণে সক্ষম হয়। এর পর থেকে এটা বাংলা বর্ষবরণের অপরিহার্য অনুষঙ্গ হয়ে ওঠে। ১৯৯৬ সাল থেকে চারুকলার এ আনন্দ শোভাযাত্রা ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নাম ধারণ করে। ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর ইউনেস্কোর বিশ্বঐতিহ্যের স্বীকৃতি লাভ করে এ শোভাযাত্রা।

 

 



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top