ব্রিটিশ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি ফিরিয়ে দিলেন শহিদুল আলম
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৩ জুন ২০২৪, ১৬:৩৭
যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব দ্য আর্টস অব লন্ডনের (ইউএএল) কাছ থেকে পাওয়া সম্মানজনক ডক্টরেট ডিগ্রি ফেরত দিয়েছেন বাংলাদেশি আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম। রোববার দৃক পিকচার লাইব্রেরি লিমিটেডের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ফটোগ্রাফি ও অ্যাক্টিভিজমে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ইউনিভার্সিটি অব আর্টস লন্ডন শহিদুল আলমকে একটি সম্মানসূচক ডক্টরেট প্রদান করে। ২০২২ সালের ৮ জুলাই লন্ডনের রয়্যাল ফেস্টিভাল হলে তিনি ডিগ্রিটি গ্রহণ করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে শহিদুল আলম বলেন, 'সেসময় আর্ট এবং ডিজাইনের ক্ষেত্রে ইউএএল ছিল বিশ্বের শীর্ষ দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি। আমি আনন্দের সঙ্গে ইউএএলের চ্যান্সেলর গ্রেসন পেরির কাছ থেকে ডিগ্রিটি গ্রহণ করেছিলাম, কারণ ইউএএল একাডেমিক স্বাধীনতা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ছিল। গ্রেসন পেরির ভাষায়, বিশ্ববিদ্যালয়টি ছিল বিশ্বে ক্ষমতাশালীদের অশান্তি তৈরি করার বড়সড় কারখানা।'
তিনি বলেন, 'পরবর্তীতে যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলরের দায়িত্ব গ্রহণ করেন জেমস পুরনেল নামে একজন স্বীকৃত জায়নবাদী, কিন্তু ইউএএলের শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনের সঙ্গে সংহতি প্রদর্শন ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানানোর দাবিতে ব্রিটেনের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এগিয়ে আছে দেখে আমি আশ্বস্ত হয়েছিলাম।'
শহিদুল আলম বলেন, 'এই পরিপ্রেক্ষিতে আমি ইউনিভার্সিটি অব আর্টস লন্ডনের সঙ্গে যুক্ত থাকতে চাই না।' সম্মানসূচক 'ডক্টরেট' ডিগ্রি ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়কে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
শহিদুল আলম একইসঙ্গে দৃক পিকচার লাইব্রেরি, পাঠশালা সাউথ এশিয়ান মিডিয়া ইনস্টিটিউট ও মেজরিটি ওয়ার্ল্ডের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ১৯৮৩ সালে লন্ডনের বেডফোর্ড কলেজ থেকে জৈব রসায়নে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন।
আলোকচিত্রী ও মানবাধিকারকর্মী শহিদুল আলম। তিনি বাংলাদেশের মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নিয়ে কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরায় সাক্ষার দিয়ে আলোচিত হন। এরপর অবশ্য বিভিন্ন মামলায় তিনি জেলও খাটেন। পরে কারামুক্ত হয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে নির্যাতিত মানুষের পক্ষে অবস্থান তুলে ধরেন। এবারও তিনি তার প্রমাণ দিলেন।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।