৪৩তম বিসিএসে বাদ পড়া চাকরিপ্রত্যাশীরা সচিবালয়ের সামনে

অন্তর্ভুক্তির দাবিতে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন থেকে বাদ পড়া ৪৩তম বিসিএসের চাকরিপ্রার্থীরা। বুধবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে শতাধিক চাকরিপ্রত্যাশী আব্দুল গণি রোডে সচিবালয়ের ১ ও ২ নম্বর গেটের সামনে অবস্থান নিয়ে প্রজ্ঞাপন থেকে বাদ পড়ার কারণ জানতে চাইছেন। তারা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের কাছে আবেদন দিয়েছেন।

৪৩তম বিসিএসে নিয়োগের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ১৫ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে গত ৩০ ডিসেম্বর নতুন করে আবার প্রজ্ঞাপন জারি হয়। নতুন এ প্রজ্ঞাপনে বাদ পড়েন ১৬৮ জন। এর আগে এই বিসিএস থেকে চূড়ান্ত সুপারিশ পাওয়া ২ হাজার ১৬৩ জনের মধ্যে থেকে অন্তর্বর্তী সরকার বিভিন্ন ক্যাডারে ৯৯ জনকে বাদ দিয়ে ১৫ অক্টোবর প্রজ্ঞাপন করে নিয়োগ দিয়েছিল।

জনপ্রশাসনের প্রজ্ঞাপন থেকে বাদ পড়া চাকরিপ্রত্যাশীরা বলছেন, তারা প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা শেষে পুলিশ ভেরিফিকেশন হয়ে নিয়োগ পেয়েছিলেন। কিন্তু এখন তাদের কেন বাদ দেওয়া হলো তা তারা জানতে চান। তারা প্রজ্ঞাপনে নিজেদের অন্তর্ভুক্তির দাবি জানান।

৩০ ডিসেম্বরের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন-পিএসসির সুপারিশ পাওয়া ১ হাজার ৮৯৬ জন প্রার্থীকে সিভিল সার্ভিসের বিভিন্ন ক্যাডারের প্রবেশ পদে নিয়োগ দেওয়া হল।

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল ২০২০ সালের ৩০ নভেম্বরে, যাতে অংশ নিতে বিসিএসের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আবেদন ৪ লাখ ৩৫ হাজার ১৯০ জনের জমা পড়েছিল। আর পরীক্ষায় মোট ৩ লাখ ২১ হাজার ৬৫০ জন প্রার্থী অংশ নেন।

এদিকে, বাদ পড়া প্রার্থীদের কয়েকজন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের দপ্তরে গিয়ে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সবার আবেদন জমা দিয়েছেন।