ক্ষুদ্র ঋণ চালু করতে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা আর্জেন্টিনার
রাহুল রাজ | প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ১৫:৩১
আর্জেন্টিনায় ক্ষুদ্র ঋণ চালু করতে বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত মার্সেলো সিজা।
রোববার (১৯ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ সহযোগিতা কামনা করেন আর্জেন্টাইন রাষ্ট্রদূত।
প্রধান উপদেষ্টাকে তিনি বলেন, ফুটবলকে কেন্দ্র করে আমাদের যে আবেগ আছে, তাতে দুই দেশের লাভের জন্য আমরা এর সদ্ব্যবহার করতে পারি। আর্জেন্টিনা ও বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতার অনেক ক্ষেত্র অনাবিষ্কৃত রয়েছে, যা দুই দেশের জন্য উল্লেখযোগ্য সম্ভাবনা তৈরি করতে পারে।
এ সময় আর্জেন্টিনার বুয়েন্স আয়ার্সে বাংলাদেশের দূতাবাস খোলার বিষয়টিও বিবেচনার অনুরোধ করেন মার্সেলো সিজা।
আর্জেন্টাইন রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বর্তমানে আর্জেন্টিনার প্রায় ৭০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাণিজ্য তাদের অনুকূলে রয়েছে এবং তারা বাংলাদেশ থেকে আমদানি বাড়িয়ে এই সম্পর্ককে ভারসাম্যপূর্ণ করতে চায়।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসও আর্জেন্টিনার সঙ্গে বাংলাদেশের আবেগময় ফুটবল সম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানান।
আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের প্রতি বাংলাদেশের জনগণের বিপুল সমর্থনের কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের মধ্যে আবেগের সম্পর্ক রয়েছে। আমরা এর ওপর ভিত্তি করে সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারি। মাঠ প্রস্তুত, আমরা এটাকে অন্য ক্ষেত্রে নিয়ে যেতে পারি।
এ ছাড়া তিনি রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কিত বাণিজ্য ও বিনিয়োগের জন্য পূর্ণ মালিকানা বা যৌথ উদ্যোগে উদ্যোগ গ্রহণের সুযোগ অনুসন্ধান এবং জ্বালানি সহযোগিতার সম্ভাবনা খতিয়ে দেখার কথাও বলেন।
আর্জেন্টিনা বর্তমানে বাংলাদেশে সয়াবিন, গম, ভুট্টা এবং কাঁচা তুলাসহ বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে এবং বাংলাদেশ থেকে বছরে প্রায় ২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মতো পোশাক আমদানি করে।
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আলাপের সময় তুলা, যৌথ বিনিয়োগ, ফার্মাসিউটিক্যালস, টেক্সটাইল, ফুটবল সহযোগিতা (নারীসহ), ক্ষুদ্রঋণ, বাণিজ্য প্রতিনিধিদল, এলএনজি, চাল রোগ ইত্যাদি বিষয়ে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন রাষ্ট্রদূত মার্সেলো সিজা।
এ সময় তিনি ২০২৪ সালের ২৯ আগস্ট গুম প্রতিরোধে আর্জেন্টিনার সক্রিয়ভাবে গৃহীত গুম থেকে সব ব্যক্তির সুরক্ষা বিষয়ক আন্তর্জাতিক কনভেনশনে (আইসিপিপিইডি) সইয়ের মাধ্যমে জোরপূর্বক গুম প্রতিরোধে বাংলাদেশের অঙ্গীকারেরও প্রশংসা করেন।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।