‘কোটা না মেধা’ স্লোগানে উত্তাল শহীদ মিনার
রাহুল রাজ | প্রকাশিত: ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:৪১
সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের সদ্য প্রকাশিত ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল অবিলম্বে বাতিল করে পুনরায় প্রকাশসহ কোটা বাতিলের দাবিতে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২০ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শিক্ষার্থীরা শহীদ মিনারে জড়ো হন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তারা সেখানেই অবস্থান করছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। শিক্ষার্থীরা ‘অবিলম্বে ফলাফল বাতিল করো করতে হবে’, ‘কোটা না মেধা-মেধা মেধা’, ‘মেডিকেলের ফলাফল-পুনঃপ্রকাশ করতে হবে’ ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছেন।
এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তারা বলেন, প্রয়োজনে আমরা ঢাকা মেডিকেলসহ সারাদেশের সব মেডিকেলের শিক্ষার্থীরা এই আন্দোলনে নামবো।
এই আন্দোলনকে হালকাভাবে নেওয়ার কিছু নেই জানিয়ে শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, আজকের মধ্যেই ফলাফল বাতিল করতে হবে।
এ সময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে নিটোরের সহযোগী অধ্যাপক ডা. ইদ্রিস আলী বলেন, আমার একজন ছেলে বা মেয়ে ৭৩ পেয়েও মেডিকেলে চান্স পাচ্ছে না, অথচ মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৩৬ বা ৩৭ পেয়েও চান্স পেয়ে যাচ্ছে। পরিবর্তিত বাংলাদেশে কেনো এই বৈষম্য থাকবে? আমরা এই ফল মানি না।
এর আগে, রোববার (১৯ জানুয়ারি) মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কোটা পদ্ধতি রাখার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। রাত ১১টার দিকে হলপাড়া থেকে মিছিলটি শুরু হয়। এরপর ভিসি চত্বর ও টিএসসি হয়ে শহীদ মিনারে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন বিক্ষোভকারীরা। এ সময় তারা কোটাবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেন।
অপরদিকে, রোববার (১৯ জানুয়ারি) রাত ১০টায় মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় কোটা পদ্ধতি বহাল রাখার প্রতিবাদে ঢাকা কলেজে বিক্ষোভ মিছিল করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা কলেজ শাখার আহ্বায়ক আফজাল হোসেন বলেন, আজকে মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের মতো ছাত্রজনতার সরকারও সেই কোটা বহাল রেখেছে।
তিনি আরও বলেন, মেডিকেলে ভর্তি পরীক্ষায় অনেকে ৪১ পেয়ে চান্স পেয়েছে, অথচ ৭৫ নম্বর পেয়েও কারও চান্স হয়নি। অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমাদের দাবি, অতি শিগগিরই এই কোটা প্রথা বাতিল করা হোক। নতুন করে ফলাফল প্রকাশ করা হোক, সেখানে যেন কোনো কোটা না থাকে।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।