সাড়া পেলেন না পিনাকী ভট্টাচার্য, অক্ষত সিপিবি কার্যালয়, তৌহিদী জনতা কী করলো

রাজীব রায়হান | প্রকাশিত: ১৬ মার্চ ২০২৫, ১১:৪৬

ছবি: সংগৃহীত

পুরানা পল্টনে সিপিবির কার্যালয় এখন টক অব দ্য কান্ট্রি। হত্যা, ধর্ষণ, নিপীড়নের বিচার এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার অপসারণের দাবিতে গণমিছিলের কর্মসূচি দিয়েছে আটটি সংগঠন।

জবাবে কমিউনিস্ট পার্টি কার্যালয়কে ছাত্র-জনতার কার্যালয় বানানোর ডাক দিয়েছিলেন লেখক ও অনলাইন অ্যাকটিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য। ঘোষণা দেন সিপিবি অফিস ঘেরাও করারও। কিন্তু এবার আর তার ডাকে কেউ সাড়া দেয়নি। অফিস দখল তো দূরের কথা, ১০ জন তৌহিদী-জনতা সেখানে অবস্থান করেনি।

অভিযোগ রয়েছে, এই পিনাকী ভট্টাচার্যর ডাকে গত ৫ ফেব্রুয়ারি ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছিল তৌহিদী-জনতা।

একই ভাবে প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টার কার্যালয়ের সামনে গরু জবাই দিয়ে জিয়াফত কর্মসূচি পালন করেছিল সেই তৌহিদী-জনতা। দুটি পত্রিকার অফিসের নিরাপত্তা দিতে রীতিমত হিমশিম খেতে হয়েছিল সেনাবাহিনীকে।

পিনাকী ভট্টাচার্যের বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কার্যালয়কে ছাত্র-জনতার কার্যালয় বানানোর ডাককে ঘিরে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল। সবাই আশঙ্কা করেছিল সিপিবির অফিসটি আর সেখানে থাকবে না।

জাতিসংঘের মহাসচিবের ঢাকা সফরের সময় পিনাকী এই উত্তেজনা তৈরির চেষ্টায় রীতিমত ভড়কে যায় মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার। তাই অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে শনিবার সকাল থেকেই কার্যালয়টির সামনে অবস্থান নেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েকশ সদস্য। ছিল সেনাবাহিনীর টহল।

যদিও পিনাকীর হুমকিতে দমে যায়নি সিপিবি। পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, সকাল সাড়ে ১০টার কার্যালয়ের সামনে এসে কালো পতাকা উত্তোলন করেন দলটির সভাপতি কমরেড শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। এতে অংশ নেয় বাম ঘরানার কয়েকটি সংগঠনের নেতাকর্মীরাও।

এসময় সিপিবির সাধারণ সম্পাদক প্রিন্স তিনি বলেন, অনেকে ক্ষমতার পরিবর্তন চান, কিন্তু ব্যবস্থার পরিবর্তন চান না। তারা তাদের পরিস্থিতি ঠিক রাখতে চায়। একমাত্র বামপন্থী এবং কমিউনিস্টরা জনগণের মুক্তির জন্য কথা বলে।

কর্মসূচির মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে সিপিবি পুনর্বাসন করছে-এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মুক্তি ভবনের সামনে সিপিবির সাধারণ সম্পাদক প্রিন্স তিনি বলেন, যারা ইতিহাস জানে না, তারা কি বলল না বলল এটাতে দোষ দিতে চাই না। এ সময় নেতাকর্মীরা কমরেড, কমরেড, ভেঙে ফেলো ব্যারিকেড, দুনিয়ার মজদুর, এক হও লড়াই করো’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top