চট্টগ্রাম বন্দরে পাকিস্তান থেকে আসা দুই কনটেইনারে ২৫ টন নিষিদ্ধ পপি সিড জব্দ

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পাকিস্তান থেকে আসা দুইটি কনটেইনারে লুকিয়ে আনা প্রায় ২৫ টন নিষিদ্ধ পপি সিড জব্দ করেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকালে কাস্টম হাউসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়।

কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, পাকিস্তান থেকে ‘পাখির খাদ্য’ হিসেবে ঘোষিত পণ্য নিয়ে দুটি কনটেইনার দেশে আসে। তবে কনটেইনার খোলার পর দেখা যায়, সামনের দিকে প্রায় ৭ হাজার ২০০ কেজি পাখির খাবার থাকলেও ভেতরে লুকানো ছিল ২৪ হাজার ৯৬০ কেজি আমদানি-নিষিদ্ধ পপি সিড।

চালানটি আমদানি করে মেসার্স আদিব ট্রেডিং, আর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট হিসেবে কাজ করে এম এইচ ট্রেডিং লিমিটেড। কাস্টমস কর্মকর্তারা নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যানোপ্রযুক্তি সেন্টার এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষার জন্য পাঠান। পরীক্ষায় পণ্যটি পপি সিড হিসেবে শনাক্ত হয়।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার এইচ এম কবির বলেন,

“ঘোষণায় পণ্যের মূল্য ছিল ৩০ লাখ ২ হাজার ৪৮২ টাকা, কিন্তু জব্দ হওয়া নিষিদ্ধ পপির বাজারমূল্য প্রায় ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।”

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ অনুযায়ী অঙ্কুরোদগম উপযোগী পপি সিড ‘ক’ শ্রেণির মাদক হিসেবে বিবেচিত। এছাড়া আমদানি নীতি আদেশ ২০২১-২৪-এর অনুচ্ছেদ ৩(১)(খ) অনুযায়ী পপি সিড আমদানি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, জব্দকৃত কনটেইনার ও পণ্যগুলো সরকারি কোষাগারে জব্দ তালিকাভুক্ত করা হয়েছে এবং অভিযুক্ত আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন।

নিফ্লা৭১/ওতু