বাংলাদেশের জার্সিতে খেলা থেকে এক ধাপ দূরে হামজা
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯:১৭
বাংলাদেশের হয়ে খেলতে আর একধাপ দূরে হামজা চৌধুরী। ইংল্যান্ড ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের ছাড়পত্র মিলেছে। এরই মধ্যে ফিফায় সব কাগজও পাঠিয়েছে বাফুফে। এখন প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটির সভায় শুধু অনুমোদনের অপেক্ষা। নভেম্বর উইন্ডোতে হামজাকে নিয়ে আশাবাদী ফুটবল ফেডারেশন।
লেস্টার সিটির ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারের জন্য ছাড়পত্র চেয়ে ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের (এফএ) কাছে আবেদন করেছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছে ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ)। হামজার ছাড়পত্র পাঠিয়ে দিয়েছে তারা।
হামজার ছাড়পত্র পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার। আজকের পত্রিকাকে বাফুফের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আজ মঙ্গলবার ইংল্যান্ড ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন হামজার ছাড়পত্র ফিফার কাছে পাঠিয়েছে।’
হামজাকে বাংলাদেশের হয়ে খেলানোর পরের ধাপ ফিফার অনুমোদন নেওয়া। সেই প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন ইমরান, ‘হামজার ছাড়পত্র আমরা ফিফার কাছে পাঠালাম। ফিফার প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটি অনুমোদন দেওয়ার পর হামজার বাংলাদেশের হয়ে খেলতে আর কোনো বাধা থাকবে না।’
জন্মভূমি বাংলাদেশের জার্সিতে হামজাকে দেখতে যেন তর সইছে না তাঁর বাবা মোরশেদ দেওয়ানের। কথা বলতে গিয়ে এক রকম আবেগপ্রবণ হয়ে পড়লেন মোরশেদ। আজকের পত্রিকাকে আজ হামজার বাবা বলেছেন, 'আসলে আমাদের কাছে তো কোনো খবর নেই। বিষয়টা এখন বাফুফের হাতে। এখন আপনার থেকে প্রথম শুনলাম ছাড়পত্র পেয়েছে তারা (বাফুফে)। আমরাও অপেক্ষায় আছি ওকে বাংলাদেশের জার্সিতে মাঠে দেখার।’
ইংল্যান্ডের ফুটবলে কী পরিমাণ ব্যস্ততা থাকে ফুটবলারদের, সেটা যে অনেকেরই জানা। প্রিমিয়ার লিগের দল হলে তো কথাই নেই। হামজার বাবা মোরশেদ আজকের পত্রিকার সঙ্গে যখন কথা বলেন, তখন সেটা আরও স্পষ্ট হয়েছে, ‘ও (হামজা) তো অনেক ব্যস্ত। আমরাও ব্যস্ত থাকি। ও খুব কমই বাসায় আসে। তবে ফোনে কথা হয়। দেখাটা হয় খুব কম। এই ধরেন দুই তিন মাসে একবার দেখা হয়। আচ্ছা আমি বিষয়টা ওকে জানাবনি।’
২৬ বছর বয়সী হামজার জন্ম ইংল্যান্ডে হলেও তাঁর মা বাংলাদেশি। মায়ের বাড়ি ছিল সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলায়। মায়ের সঙ্গে তিনি বাংলাদেশে এসেছেন কয়েকবার, সিলেটেও ঘুরে গেছেন। মায়ের সূত্র ধরেই লাল-সবুজ জার্সি গায়ে চড়ানোর ইচ্ছা হামজার।
বিষয়:
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।