হার দিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু পাকিস্তানের

রাহুল রাজ | প্রকাশিত: ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১৫:৩০

টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে পাকিস্তান

দিন কয়েক আগেই নিউজিল্যান্ডের কাছে ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা হাতছাড়া করেছিল পাকিস্তান। সেই হারের প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ ছিল এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে। তবে এখানেও ব্যর্থ স্বাগতিকরা। ঘরের মাঠে হার দিয়ে আসর শুরু করল মোহাম্মদ রিজওয়ানের দল। অন্যদিকে উড়তে থাকা কিউইরা ৬০ রানের বড় জয়ে সেমির সমীকরণ সহজ করল।

করাচিতে উদ্বোধনী ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩২০ রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড। জবাবে খেলতে নেমে ৪৭ ওভার ২ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৬০ রানের বেশি করতে পারেনি পাকিস্তান।


বড় লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি পাকিস্তানের। ৬ রান করে সৌধ শাকিল বিদায় নিলে ৮ রানে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। তিনে নেমে ব্যর্থ মোহাম্মদ রিজওয়ান। অধিনায়ক চাপ বাড়িয়ে ফিরেছেন মাত্র ৩ রান করে।

২২ রানে দুই উইকেট হারানোর পর ফখর জামানকে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন বাবর আজম। তবে ২৪ রানের বেশি করতে পারেননি ফখর। তবে তার বিদায়ের প্রভাব পড়তে দেননি সালমান আলি আগা। তিনি বাবরকে যোগ্য সঙ্গ দিচ্ছিলেন। কিন্তু ২৮ বলে ৪২ রানে থেমেছেন এই ব্যাটার।


মিডল অর্ডারে ব্যর্থ তৈয়ব তাহির। এক রান এসেছে তার ব্যাট থেকে। দেখে শুনে খেলা বাবরও ফিরেছেন ফিফটির পর। তিনি ৯০ বলে করেছেন ৬৪ রান। তার বিদায়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় পাকিস্তান। তবে শেষদিকে কিছুটা লড়াই করেছেন খুশদিল শাহ। ৪৯ বলে অপরাজিত ৬৯ রানের ইনিংস খেলেছেন তিনি। তবে সেটা কেবলই ব্যবধান কমিয়েছে।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে কিউইদের শুরুটা ছিল দেখেশুনে। দলীয় ৩৯ রানে তাদের প্রথম আঘাতটা দেন লেগস্পিনার আবরার আহমেদ। ব্যক্তিগত ১০ রানে তার বলে বোল্ড হয়ে যান ওপেনার ডেভন কনওয়ে। আর এক রান যোগ হতেই আউট হয়েছেন কিউইদের সাবেক অধিনায়ক কেইন উইলিয়ামসন। সম্প্রতি দারুণ ফর্মে থাকা এই অভিজ্ঞ তারকাকে ১ রানে ফিরিয়েছেন পেসার নাসিম শাহ। ড্যারিল মিচেল রান করতে কিছুটা সংগ্রাম করছিলেন। ২৪ বলে ১০ রান করতেই তাকে ফেরান হারিস রউফ।

৭৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে যাওয়া নিউজিল্যান্ড পাল্টা লড়াই শুরু করে এরপর। পঞ্চম উইকেট জুটিতে ল্যাথাম-ইয়াং দেখেশুনে শুরু করে সেটিকে নিয়ে যান ১১৮ রান পর্যন্ত। এরই মাঝে ইয়াং তুলে নেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি। ফরম্যাটটিতে দেশের বাইরে এটি তার প্রথম শতক। নাসিমের দ্বিতীয় শিকার হয়ে আউট হওয়ার আগে ইয়াংয়ের ব্যাটে আসে ১০৭ রান। এরপর রানের গতি বেড়েছে কিউইদের। ক্রিজে এসেই ইনফর্ম ব্যাটার ফিলিপস ব্যাট চালিয়েছেন ঝড়ের তালে। ল্যাথামের সঙ্গে তিনি গড়েন ১২৪ রানের জুটি।

দারুণ বোলিং করতে থাকা পাকিস্তান শেষদিকে এমন বিপর্যয় দেখবে হয়তো কল্পনাও করেনি। ফিলিপস বেশি চড়াও ছিলেন শাহিন আফ্রিদির ওপর। এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে এই পাক পেসারের ২৯ বলের বিপরীতে ৭৮ রান করেছেন ফিলিপস। তবে কিউইদের জন্য স্বস্তির বিষয় ল্যাথামের সেঞ্চুরি। সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাটিংয়ের পজিশন বদলেও রানের জন্য ধুঁকতে থাকা এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার কিউইদের বড় লক্ষ্যে ১১৮ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছেন। ফিলিপস অপরাজিত ছিলেন ৬১ রানে। বিপরীতে পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ২টি করে উইকেট নেন নাসিম ও রউফ।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top