প্যারাগুয়েকে হারিয়ে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করলো ব্রাজিল

ব্রাজিলের কোচ হিসেবে কার্লো আনচেলত্তি যুগের শুরুটা গোলশূন্য ড্র দিয়ে করেছিল ব্রাজিল। তবে সেলেসাওদের হয়ে প্রথম জয়ের জন্য খুব বেশি অপেক্ষা করতে হয়নি ইতালিয়ান কোচকে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে মঙ্গলবার (১০ জুন) ঘরের মাঠ নিও কুইমিকা অ্যারেনাতে প্যারাগুয়েকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল। একই সঙ্গে বাছাইপর্বের দুই ম্যাচ হাতে রেখে ২০২৬ বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করেছে সেলেসাওরা। ব্রাজিলের হয়ে একমাত্র গোলটি করেছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র।

প্রথমার্ধের একেবারে শেষ মিনিটে গোল করেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। অবশ্য র‍্যাঙ্কিংয়ের ৪৮তম স্থানে থাকা প্যারাগুয়ের বিপক্ষে এমন জয়টা খুব বেশি তৃপ্তি দিতে পারছে না ব্রাজিল ভক্তদের।

এবারের বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব একেবারেই ভালো যাচ্ছিল না ব্রাজিলের জন্য। প্যারাগুয়ে ম্যাচের আগে শেষ ৫ ম্যাচে ছিল মোটে ১ জয়। কার্লো আনচেলত্তি দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথম ম্যাচেও ছিল না ব্রাজিলের দাপুটে পারফরম্যান্স। তবে বুধবার ভোরের ম্যাচে ব্রাজিলকে অনেকটাই দেখা গেছে আগ্রাসী ভূমিকায়।

ম্যাচের প্রায় পুরোটা সময় জুড়েই প্যারাগুয়েকে ভুগিয়েছে আনচেলত্তির শিষ্যরা। শুরুর দিকে ম্যাথিয়াস কুনহা দারুণ সাহায্য করেছেন রাফিনিয়া এবং ভিনিসিয়ুসকে। তবে এই দুজনের কেউই কুনহার শুরুর দিকের পাস থেকে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি।

২২ থেকে ২৮– এই সাত মিনিটে অন্তত ৩টি ভাল সুযোগ হারায় ব্রাজিল। শেষ পর্যন্ত গোল আসে একেবারে ৪৪ মিনিটে গিয়ে। ম্যাথিয়াস কুনহাই গোলের উৎস। দলীয় বোঝাপড়ায় বল পেয়েছিলেন ডি-বক্সে। তার কাটব্যাক পাস খুঁজে নেয় ভিনিসিয়ুসকে। প্যারাগুয়ে ডিফেন্সের বাধার মুখে পড়ে যেতে যেতেও গোল করেন ব্রাজিলের এই তারকা।

বিরতির পর ব্রাজিল বলের দখল ধরে রাখলেও গোল করার মতো আক্রমণ খুব বেশি তৈরি করতে পারেনি। উল্টো কাউন্টার অ্যাটাকে প্যারাগুয়ে অন্তত দুবার ব্রাজিল রক্ষণে ভয় ধরিয়েছিল। ৬০ মিনিটে অ্যান্তোনিও সানাব্রিয়ার শট ঠেকান ব্রাজিলের গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার। ৭২ মিনিটে জুনিয়র আলোনসোর হেড বারের খানিক বাইরে দিয়ে চলে যায়।

শেষদিকে ব্রাজিলের একের পর এক আক্রমণ স্ট্রাইকারদের ব্যর্থতার কারণে সাফল্যের মুখ দেখেনি। তাতে অবশ্য জয় পেতে কোনো অসুবিধা হয়নি ব্রাজিলের। এই জয়ের পর কনমেবল অঞ্চলের বাছাইপর্বে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে সেলেসাওরা। ১৬ ম্যাচে ২৫ পয়েন্ট নিয়ে ২০২৬ বিশ্বকাপ নিশ্চিত করল পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা।