তীব্র তাপদাহে নগরবাসীকে স্বস্তি দিলো বুশরার ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৫:০০

ছবি: সংগৃহীত
প্রচণ্ড গরমে সারাদেশে জনজীবন বিপর্যস্ত। গরমের তীব্রতায় রেল লাইন বাকা হয়ে যাচ্ছে। প্রতিদিন হাজার হাজার বয়লার বাচ্চা মারা যাচ্ছে। জমিনের ফসল পুড়ে যাচ্ছে। বেড়েছে ভাইরাস রোগ। সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে রোগী সংখ্যা।
 
এমন অবস্থায় নিষ্প্রাণ প্রকৃতিতে মিললো হঠাৎ বৃষ্টি। তবে এ বৃষ্টি প্রকৃতির নয় বরং কৃত্রিম। তীব্র দাবদাহে রাজধানীবাসীকে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’-র মাধ্যমে প্রশান্তির এ পরশ দেয়ার উদ্যোগ উত্তর সিটি কর্পোরেশনের।
 
অসহনীয় গরম থেকে মুক্তি পেতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’-তে তাই অনেককেই দেখা গেল শীতল পরশ পেতে নিজেকে ভিজিয়ে নিতে। এমন আয়োজনে কৃতজ্ঞতা জানান উচ্ছ্বসিত নগরবাসী। 
 
 
 
প্রতিদিন প্রায় ৪ লাখ পানি ছিটিয়ে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ তৈরিতে প্রয়োজন হয়েছে দুইটি স্প্রে ক্যানন ও ১০টি ব্রাউজার। অতীতে নগরের ধুলাবালি ও বায়ুদূষণ রোধে জলকামান ব্যবহার করা হলেও এবার তা কাজে লাগানো হচ্ছে নগরীর তাপপ্রবাহ কমিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য।
 
উত্তর সিটির চিফ হিট অফিসার বুশরা আফরিন বলেন, নগরে বনায়ন বাড়িয়ে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনতে সময়ের প্রয়োজন। তবে তার জন্য এখন কিছু না করে বসে থাকার মানে নেই। তাই স্বল্প সময়ের জন্য হলেও দ্রুত তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে জলকামানের মাধ্যমে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ তৈরির উদ্যোগ নিয়েছি। এতে গরমে নগরবাসীর ভোগান্তি কিছুটা হলেও কমবে।
 
দাবদাহের পুরো সময়টাতে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য নগরে ‘কৃত্রিম বৃষ্টি’ তৈরির উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে উত্তর সিটি কর্পোরেশন। এতে কিছুক্ষণের জন্য হলেও তীব্র গরমে দেখা মিলবে শীতল পরশের।
 
এছাড়া আবহাওয়া অধিদফতরসহ বেশ কিছু সরকারি-বেসরকারি এবং এনজিওর সঙ্গে আমরা শিগগিরই যুক্ত হয়ে বিভিন্ন কার্যক্রম চালু করতে যাচ্ছি। কল্যাণপুর ও বনানীতে পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে আমরা ‘নগর বন’ তৈরি করতে যাচ্ছি, যা একই সঙ্গে শীতলকরণ, বায়ুদূষণ রোধ এবং মাটির গুণাগুণ বৃদ্ধি করবে।

 

 

 



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top