জেরুজালেমে ইহুদি উপাসনালয়ে বন্দুক হামলায় নিহত ৭

রাজিউর রেহমান | প্রকাশিত: ২৯ জানুয়ারী ২০২৩, ০২:২০

জেরুজালেমে বন্দুক হামলা

পূর্ব জেরুজালেমে সিনাগগে (ইহুদিদের উপাসনালয়ে) এক বন্দুকধারীর হামলায় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে শহরের নেভ ইয়াকভে এই হামলার ঘটনা ঘটে। খবর বিবিসির।

ঘটনাস্থলেই ৫ জন নিহত হয়েছেন । এছাড়া আহত পাঁচজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরমধ্যে একজন ৭০ বছর বয়সী নারীও রয়েছেন।

ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীর নাম আলকাম খায়েরি (২১)। তিনি ফিলিস্তিনের একজন হামাস সদস্য। তিনি পূর্ব জেরুজালেমের শুয়াফাতে বসবাস করতেন।

দেশটির পুলিশের দাবি, রাত সোয়া ৮টার দিকে একটি গাড়িতে করে আসে বন্দুকধারী। এরপর উপাসনালয় ভবনে গুলি চালায়। ওই বন্দুকধারীও ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন।

ইসরায়েলি পুলিশ একে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে দাবি করছে। পুলিশ কমিশনার কোবি শাবতাই বলেছেন, এই হামলাটি কয়েক বছরের মধ্যে ইসরায়েলের সবচেয়ে খারাপ হামলার একটি।

এদিকে, খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যান কট্টর ইহুদীবাদী প্রধানমন্ত্রী বেনয়ামিন নেতানিয়াহু। এসময় হামলাকারীকে হত্যা করায় তিনি পুলিশ অফিসারদের প্রশংসা করেন। নেতানিয়াহু বলেন, আমাদের অবশ্যই দৃঢ় সংকল্প এবং সংযম নিয়ে কাজ করতে হবে। এসময় জনগণকে আইন নিজের হাতে তুলে না নিতে আহ্বান জানান তিনি।

নেতানিয়াহু আরও বলেন, আমরা বেশ কয়েকটি তাৎক্ষণিক পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নিয়েছি যা আজ রাতে শুরু হবে। হামলার ঘটনা নিয়ে আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকও ডেকেছেন তিনি।

এরআগে, বৃহস্পতিবার অধিকৃত পশ্চিম তীরের জেনিন শহরে ভয়াবহ অভিযান চালায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। অভিযানে অন্তত ১০ ফিলিস্তিনি নিহত ও ২০ জন আহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারা বলছেন, এটা বছরের মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক হামলা। এ ঘটনার পর তেল আবিবের সঙ্গে নিরাপত্তা সহযোগিতা স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বশাসন কর্তৃপক্ষ। এই হামলার প্রতিশোধ নেয়ার হুমকি দেয় হামাসসহ ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো। এরপরই সিনাগগে হামলার ঘটনা ঘটলো।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এই ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলেছেন এবং সম্ভাব্য সব ধরনের সমর্থনের প্রস্তাব দিয়েছেন।

১৯৬৭ সালে মধ্যপ্রাচ্য যুদ্ধের পর নেভ ইয়াকভ শহরটিকে জেরুজালেমের সঙ্গে যুক্ত করে ইসরায়েল। তবে ফিলিস্তিনসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এটিকে ইসরায়েলের অবৈধ দখল বলে আসছে।

এদিকে, গাজায় হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম রয়টার্সকে বলেন, শুক্রবারের এই হামলা ছিল ইসরায়েলি দখলদারদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া। কারণ এর আগে দখলদাররা জেনিন শরণার্থী শিবিরে হামলা চালায়।

 

 

 

 

 

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top