নেপালে আবারও ক্ষমতায় এলেন বামপন্থী কেপি শর্মা

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ১৫ জুলাই ২০২৪, ১৭:৪০

ছবি: সংগৃহীত

নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন খড়গা প্রাসাদ (কেপি) শর্মা অলি। চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন তিনি। রোববার (১৪ জুলাই) রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, ৭২ বছর বয়সী অলি সোমবার তার শপথ নেবেন। চতুর্থবারের মতো তিনি প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন।

কেপি শর্মার কমিউনিস্ট পার্টি দেশটির মধ্য-বামপন্থী রাজনৈতিক দল নেপালি কংগ্রেসের সাথে জোট গড়ে সরকার গঠন করার পর রোববার তাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। দেশটির রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পাউডেলের গণমাধ্যম বিষয়ক উপদেষ্টা কিরণ পোখারেল বলেছেন, কেপি শর্মা অলিকে নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট পাউডেল।

কেপি শর্মা অলি ২০১৫ সালে প্রথমবারের মতো নেপালের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৮ সালের নির্বাচনে ফের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হন। তারপর ২০২১ সালে নেপালের অস্থিতিশীল সংসদে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন অলি। এবার চতুর্থবারের মতো দায়িত্ব নেবেন তিনি।

শুক্রবার ১২ জুলাই নেপাল পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে বিজয়ী হয়েছেন কেপি শর্মা ওলি। যেখানে জয়ের জন্য পুষ্পকমল দহল প্রচণ্ডের প্রয়োজন ছিল ১৩৮টি ভোট, সেখানে তিনি পেয়েছেন মাত্র ৬৩টি ভোট।আস্থাভোটে ২৭৫ সদস্যের হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভসের ২৫৭ জন ভোট দিয়েছিলেন। যেখানে পুষ্পকমল দহল প্রচণ্ড পেয়েছেন ৬৩টি ভোট এবং কেপি শর্মা ওলি পেয়েছে ১৯৪টি ভোট।

২০২২ সালের নভেম্বরে নেপালের সাধারণ নির্বাচনে নেপালি কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেধে লড়েছিল প্রচণ্ডের মাওয়িস্ট সেন্টার। কিন্তু জোটে জেতার পরেই দেউবাকে ছেড়ে ওলির সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন প্রচণ্ড।

পরবর্তীতে ২০২৩ সালের মধ্যপর্বে ওলির সঙ্গে মতবিরোধের সময় দেউবার সমর্থন নিয়ে কাঠমান্ডুর কুর্সি বাঁচিয়েছিলেন একদা গেরিলা যোদ্ধা। মোট চার বার জোট বদলে গদি বাঁচালেও এবার ‘চিনপন্থী’ ওলি ‘জাতীয়তাবাদী’ দেউবার সঙ্গে হাত মেলানোয় আইনসভার গণিতের হিসাবে প্রচণ্ড হেরে গিয়েছেন।

২০০৮ সালে নেপালে ২৩৯ বছরের পুরনো রাজতন্ত্রের অবসান ঘটে। এর পর থেকে গণতান্ত্রিক নেপালে চলছে রাজনৈতিক অস্থিরতা, অনিশ্চয়তা। 



বিষয়:


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top