দোয়ারাবাজারে কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজ না করেই টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার থেকে | প্রকাশিত: ২ আগষ্ট ২০২১, ২৩:১৭

দোয়ারাবাজারে কর্মসৃজন প্রকল্পের কাজ না করেই টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

দোয়ারাবাজারে রাস্তার কোনো কাজ না করেই কর্মসৃজন প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য তাজির উদ্দিনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠে।

ইতোমধ্যে কাগজপত্রে সব ঠিকঠাক দেখিয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার যোগসাজশে তিনি এ প্রকল্পের অর্ধেক টাকা ব্যাংক থেকে উঠিয়ে নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় সুন্দরপই গ্রামের বাসিন্দা এখলাছ মিয়া এক লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেন, স্থানীয় সংসদ সদস্যের ডিও লেটারের মাধ্যমে কর্মসৃজন প্রকল্প ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের সুন্দরপই হতে বাঘরা গ্রাম পর্যন্ত রাস্তার মাটি ভরাটের ২ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়। নির্ধারিত সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও ওই প্রকল্পের কোনও কাজ করা হয়নি। মাটি ভরাট না করেই সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাৎ করেছেন ইউপি সদস্য তাজির উদ্দিন।

অভিযোগকারী এখলাছ মিয়া বলেন, প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের বিষয়ে গত দুই মাস পূর্বে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দিলে এখনো এর কোন ব্যবস্থা নেয়নি স্থানীয় প্রশাসন। লিখিত অভিযোগের পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্মসৃজন প্রকল্প সরজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার দায়িত্ব দেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আম্বিয়া আহমদকে। কিন্তু তিনি অজ্ঞাত কারণে আজও এই তদন্ত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছে পৌঁছানই।

অধিকন্তু নির্দিষ্ট সময় পার হয়ে গেলেও স্থানীয় ইউপি সদস্য তাজির উদ্দিন কাজ না করেই উপজেলা প্রশাসন ও প্রকল্প কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে এ প্রকল্পের অর্ধেক টাকা ব্যাংক থেকে উঠিয়ে আত্মসাৎ করেন। বাকি টাকাও একই কায়দায় এখন উঠিয়ে নিয়ে আত্মসাতের পায়তারা করছেন।

জানতে চাইলে ইউপি সদস্য তাজির উদ্দিন জানান, তিনি যতটুকু কাজ করছেন সেটুকুরই বিল পেয়েছেন। এব্যাপারে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আম্বিয়া আহমদ এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে প্রতিবেদকের সাথে সাক্ষাতে কথা বলবেন বলে জানান।

এসব বিষয়ে দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেবাংশু কুমার সিংহ বলেন, আমি এ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সাথে কথা বলে খতিয়ে দেখছি।

এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top