দোয়ারাবাজারে বাঁশতলা-হকনগর শহীদ স্মৃতিসৌধ এলাকায় সরকারি ভূমি দখলমুক্ত

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার থেকে | প্রকাশিত: ৩ আগষ্ট ২০২১, ২২:২১

দোয়ারাবাজারে বাঁশতলা-হকনগর শহীদ স্মৃতিসৌধ এলাকায় সরকারি ভূমি দখলমুক্ত

মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন ৫নম্বর সাব-সেক্টর হেডকোয়ার্টার সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার অন্যতম পর্যটন এলাকা বাঁশতলা-হকনগর শহীদ স্মৃতিসৌধ এলাকার সরকারি ভূমি দখল মুক্ত করা হয়েছে।

সোমবার সকালে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল আহমদ এর তৎপরতায় অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করে সরকারি সম্পত্তি উদ্ধার করা হয়েছে। ওই দিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার বাংলাবাজার ইউনিয়নে থাবলী মৌজায় ৩৭৪ দাগে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত শহীদ স্মৃতিসৌধ (পাথর কোয়ারি) এলাকার মোট ২ একর ২৫ শতাংশ সরকারি খাস জমি উদ্ধার করা হয়। এ সময় স্থানীয় ভূমি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি , পুলিশসহ সচেতন এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।

জানা যায়, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জসিম মাস্টারের যোগসাজশে ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম ও তার সহযোগী প্রভাবশালী ব্যক্তিরা পর্যটন এলাকায় অঘোষিত পাথর কোয়ারি মূলঅংশের ২ একর ২৫ শতক সরকারি খাস ভূমি দখল করে সীমানা প্রাচীর স্থাপন করার প্রস্তুতি নেয়া হয়।

অতি সম্প্রতি উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফায়সাল আহমদ দোয়ারাবাজারে যোগদানের পর এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বিষয়টি তাঁর দৃষ্টিগোচরে আনা হলে তিনি অভিযান চালিয়ে সীমানা প্রাচীরের খুঁটি গুড়িয়ে দেন এবং কাঁটাতার উচ্ছেদ করে দখল মুক্ত করেন।

জানতে চাইলে বাংলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান জসিম আহমদ চৌধুরী রানা (জসিম মাস্টার) বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত পর্যটন এলাকা বাঁশতলা-হকনগরের আগন্তুক পর্যটকদের খাবারের বা রেস্ট নেওয়ার মতো কোন ব্যবস্থা নেই। সে জন্য আমি চারজন লোককে উদ্বুদ্ধ করেছি তারা যেন পর্যটকদের সুবিধার জন্য এখানে একটি রিসোর্ট তৈরি করেন এবং সরকারি জায়গা যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষ কাজগুলো সম্পন্ন করেন।

এ নিয়ে আমি সমন্বয় সভায়ও আলোচনা করেছি। কিন্তু অতিমারীকালে লকডাউনের জন্য প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। এর মধ্য ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম এখানে সীমানা নির্ধারণ করে খুঁটি দিলে স্থানীয় প্রশাসন সোমবার তা উচ্ছেদ করেন। প্রশাসনের এমন উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।

ইউপি খোরশেদ আলম বলেন, পর্যটকদের কথা চিন্তা করে ইউপি চেয়ারম্যান জসিম মাস্টারেরর পরামর্শে আমরা এখানে রিসোর্ট করার চিন্তা ভাবনা করে সীমানা নির্ধারণ করি।

স্থানীয়রা বলেছেন, পর্যটন এলাকার সরকারি ভূমি জবর দখল করে আরও কিছু প্রভাবশালী এখানে দোকানপাট ও জমি নিজেদের দখলে রেখেছে। তাদেরকেও উচ্ছেদ করার দাবি জানাই। এতোদিন এই এরাই সরকারি সম্পত্তির বেহাত করে বালি পাথর লোপাট করেছে। এখন অবৈধ দখলে নিয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাংশু কুমার সিংহ বলেন, সরকারি ভূমি দখল মুক্ত করার অভিযান অব্যাহত থাকবে। পর্যায়ক্রমে সকল দখলদারদের উচ্ছেদ করা হবে।

এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top