ঘোড়াঘাটে সরকারি ভাবে বাড়ি করে দেওয়ার প্রতারণা

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট থেকে | প্রকাশিত: ৮ আগষ্ট ২০২১, ২৩:১৯

প্রতারক রিপন মার্ডি উপজেলার বিন্যাগাড়ি মৌজার থামাকো পাড়ায় সরকারি ঘর করে দেওয়ার নামে কিছু ইট দিয়ে কাজ শুরু করেছে।

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার বুলাকীপুর ইউনিয়নের বিন্যাগাড়ী মৌজার দুটি আদিবাসী পাড়ায় সরকারি ভাবে বাড়ি ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার নামে প্রায় ৩০ টি পরিবার থেকে ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে প্রতারক রিপন মার্ডি বিরুদ্ধে।

দেখা গেছে প্রতারক উপজেলার আবিরের পাড়া গ্রামে হিরেন মার্ডির ছেলে রিপন মার্ডি বিন্যাগাড়ি মৌজার ২টি আদিবাসী পাড়া থেকে প্রায় ৩০টি বাড়ি সরকারি ভাবে নির্মাণ করে দেওয়ার নামে পরিবার গুলোর নিকট থেকে ১০ থেকে ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে তাদের ছবি ও আইডি কার্ডের ফটোকপি সংগ্রহ করে নিয়ে যায়।

এ বাড়ি নির্মাণে ইট পরিবহনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বিন্যাগাড়ি আদিবাসী পাড়ার সুনীল মার্ডি ও বালু পরিবহনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে একই পাড়া রাজন কে। জুলাই মাসে ২৬ তারিখ থেকে এসব বাছাই করা পরিবার গুলোতে ১-২ ট্রলি করে বালু ফেলা হয়েছে।

এরপর কিছু পরিবারে ৫০০ থেকে ১০০০ ইট ফেলা হয়। ২৮ জুলাই থেকে রাজ মিস্ত্রীর দায়িত্বে জোগেন মার্ডি থামাকো পাড়ার মিঠু, হারুন, আবরাহাম, লুক ও বাবুরামের বাড়িতে কাজ শুরু করেন। দেখা গেছে কোথাও ভিত্তি দেওয়া হয়েছে। আবার কোথাও কাজ শুরু করা হয়েছে।

এই ঘটনায় রাজ মিস্ত্রীর দায়িত্বে যোগেন মার্ডির সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সে জানায় রিপন মার্ডির কথা মতো সে রাজ মিস্ত্রীর দায়িত্ব নিয়ে কাজ শুরু করেছে। তাকে রিপন মার্ডি জানিয়েছে প্রথমে নিজ খরচে মিস্ত্রী বিল দিতে হবে। এরপর এক জন ম্যাজিস্ট্রেট এসে কাজ দেখে আপনার টাকা পরিশোধ করা হবে এগুলো সরকারি ভাবে কাজ হবে।

সরকারি ভাবে ঘর বাড়ি নির্মাণে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিয়োজিত টিকাদার আহসান হাবিব ওরফে সাবুর সাথে কথা হলে সে জানায়, ঘটনাটি তার কর্ণ গোচর হলে সে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হয়েছে এগুলো কোন সরকারি বরাদ্দের ঘর নয়।

ঘর করে দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার ব্যাপারে থামাকো পাড়া গ্রামে শামুয়েল ক্যামেরার সামনে জানান, তার নিকট থেকে সারে ১২ হাজার টাকা নিয়েছে রুজিনা। আবার জানিয়েছে, আরও টাকা দিতে হবে। তার বাড়িতে শুধু মাত্র এক ট্রলি বালু ফেলেছে।

শনিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাফিউল আলমের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানান, এই ঘটনাটি তার কর্ণ গোচর হয়েছে। সরকারি ভাবে এধরনের আলাদা ভাবে আদিবাসীদের জন্য ঘর নির্মাণ করে দেওয়ার কোন নির্দেশ আসেনি। একে গ্রেফতার করতে হবে। তিনি প্রতারক রিপন মার্ডি দুইটি ফোন নাম্বার সংগ্রহ করে নিয়েছেন।

 

এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১



বিষয়: ঘোড়াঘাট


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top