গ্রাম বাংলা থেকে হারিয়ে যাচ্ছে পুরনো স্মৃতির ঐতিহ্যবাহী ধানের গোলা
নওগাঁ থেকে | প্রকাশিত: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০৩:০৫
নওগাঁ জেলার প্রতিটি উপজেলার প্রতিটি গ্রামে বাংলার সমৃদ্ধির প্রতীক ধানের গোলা এখন বিলুপ্ত প্রায়। হারিয়ে যাচ্ছে কৃষিক্ষেত ও কৃষকের ঐতিহ্যবাহী ধানের গোলা। মাঠের পর মাঠ ধান ক্ষেত থাকলেও অধিকাংশ কৃষকের বাড়িতে নেই ধান মজুদ করে রাখার বাঁশ বেত ও কাদা-মাটি দিয়ে তৈরি গোলাঘর। অথচ এক সময় সমাজের নেতৃত্ব নির্ভর করত কার কয়টি ধানের গোলা আছে।
কৃষকের ধানের গোলা ও ডোলা এখন শহরের বিত্তশালীদের গুদাম ঘরে পরিণত হয়েছে। ইট বালু সিমেন্ট দিয়ে পাকা ইমারত গুদাম ঘরে মজুদ করে রাখা হচ্ছে হাজার হাজার টন ধান চাল৷ অনেক ক্ষুদ্র কৃষক বস্তা ও বেরেল ভর্তি করে রাখছে আউশ, আমন ও বোরো মৌসুমে উৎপাদিত ধান চাল। আগে যারা গ্রামের জমিদার ছিল তাদের গোলাভরা ধান ও পুকুর ভরা মাছ ছিল জমিদারি প্রথা ও উচ্চ চাষি পরিবারের ঐতিহ্য।
পূর্বপুরুষের রেখে যাওয়া গোলাঘরে ধান চাল ওঠানো-নামানো হতো গরুর গাড়িতে করে। তবে গ্রাম এলাকায় এখনো বাপ-দাদার ঐতিহ্যবাহী গোলা রক্ষায় ধনী শ্রেণীর কৃষকরা বাঁশের তৈরি গোলা ধরে রেখেছেন। বাস্তবতা বড়ই নিষ্ঠুর। আগামী প্রজন্মের কাছে গোলা ঘর একটি স্মৃতিতে পরিণত হয়েছে। আধুনিক গুদাম ঘর ধানচাল রাখার জায়গা দখল করছে। ফলে গোলা ঘরের ঐতিহ্য একেবারেই হারিয়ে যাচ্ছে।
এরই প্রেক্ষাপটে গ্রামীণ ঐতিহ্য সংরক্ষণবাদী বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সকলের শ্রদ্ধাভাজন কাজের রূপকার মানুষ আঃ রহিম পশারি বলেন হারিয়ে যাওয়া কৃষকের ঐতিহ্য গোলাঘর আজকে শুধু স্বপ্ন ময় এক বিভীষিকার শুধুই কাল্পনিক স্মৃতিচারণ হিসাবে মানব সমাজের প্রতিটি মানুষের কালের সাক্ষী ছাড়া আর কিছুই মনে হবেনা। তাই বলবো বর্তমান প্রজন্ম যেন এই গোলাঘর বিষয়ে স্মরণেআ রাখতে পারবে সে বিষয়ের সৃতি হিসাবে যেন এটি জাতীয় যাদুঘরে স্থান পায়।
এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১
বিষয়: নওগাঁ
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।