রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

দোয়ারাবাজারে দপ্তরী কাম-প্রহরীদের কর্মঘন্টা নির্ধারন ও ছুটি প্রাপ্তির দাবিতে স্বারক লিপি প্রদান

দোয়ারাবাজার থেকে | প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০২১, ১১:৪৪

দোয়ারাবাজারে দপ্তরী কাম-প্রহরীদের কর্মঘন্টা নির্ধারন ও ছুটি প্রাপ্তির দাবিতে স্বারক লিপি প্রদান

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে নিয়োগ প্রাপ্ত দপ্তরী কাম-প্রহরীদের, হাইকোর্টের রায় অনুযায়ী কর্মঘন্টা নির্ধারন ও ছুটি প্রাপ্তির দাবিতে স্বারক লিপি প্রদান করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুর ২ টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাংশু কুমার সিংহ'র কাছে এ স্মারক লিপি প্রদান করেন উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত দপ্তরী কাম-প্রহরীরা। তাদের স্বরকলিপিতে দাবি করা হয়, অর্থ মন্ত্রনালয়ের আউটসোসিং নীতিমালা ২০০৮ ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রনালয়ের ২০১২সালের অউটসোর্সিং নীতিালায় নিয়োগ প্রাপ্ত হয়ে তারা স্ব-স্ব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন।

আউটসোর্সিং নীতিমালা অনুচ্ছেদ ১১/১ মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মচারীদের সরকারী ছুটি প্রাপ্যতার কথা থাকলেও তারা কোন ছুটি পান বলেও স্বরকলিপিতে দাবি করা হয়। এমনকি তাদের ২৪ ঘন্টা ডিউটি করতে হয়। এই কর্মঘন্টা নির্ধারন প্রসঙ্গে মহামান্য হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন দপ্তরী কাম-প্রহরীরা। এতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর হাইকোর্টে জবাব দিয়েছেন ২৪ ঘন্টা কর্মসময় নয়, তাদের স্কুল টাইম পর্যন্ত কর্মসময়। এ দিকে বাস্তবে তার ভিন্নরুপ বাস্তবে তাদের ২৪ ঘন্টাই দায়িত্ব পালন করতে হয়। রাতে তাদের স্কুল পাহারা দিতে হয়, দিনের বেলা স্কুল চলাকালিন সময়ে স্কুলে থাকতে হয়। তাদের দাবি, নীতিমালা উপেক্ষা করে আমাদের দিনরাত পরিশ্রম করতে হচ্ছে। সরকারি ছুটি ও কর্মঘন্টা নির্ধারন করলেই তাদের দাবি পুরণ হবে।

স্বারকলিপি প্রদানের সময় উপস্থিত ছিলেন, দোয়ারাবাজার উপজেলা দপ্তরী কাম প্রহরী সংগঠনের সভাপতি মো. আবদাল হোসেন, শাহিন মিয়া,সোলায়মান, ফয়জুল মিয়া,আলমগির হোসেন,মো. ইন্তাজ আলী, সঞ্জু দাস, মো. সামছুল হক, মো. কাওছার আহমদ, আব্দুল গফুর, বদরুল আলম, সুলেমান, শ্রী কৃপা দাশ, শ্রী রূপক কান্তি দাশ, মো. ইসরাফিল হোসেন,মো. সুহেল আহমদ, তারেক আহমদ, ছাইদুল ইসলাম, জাহেদ আহমদ, অতিন্দ্র দাশ, জহির আহমদ প্রমূখ।

এনএফ৭১/এমএ/২০২১

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top