সৈয়দপুরে বিদায়ের দিন জানা গেল বরের আরেকটি বিয়ে খবর
নীলফামারী থেকে | প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর ২০২১, ০৬:৪৭
নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের কয়ামিস্ত্রীপাড়া এলাকার জয়ত্রী রানী রায়ে (২০) আশীর্বাদ ও রেজিস্ট্রি হয়েছে এক বছর আগে। রবিবার (২১ নভেম্বর) রাতে মেয়েকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় দেওয়ার প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন করেছেন কনের পিতা শ্রী তুলশী চন্দ্র রায়। বাড়িতে চলছে আনন্দ-উল্লাস। দুর-দুরান্ত থেকে এসেছেন আত্মীয়-স্বজনরা।
কিন্তু এর মধ্যেই বাধে বিপত্তি। আগের দিন জানতে পারেন বর এক সপ্তাহ আগে আরেকটি বিয়ে করেছে তাঁর পছন্দের মেয়েকে। পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে পড়ে যে, বিয়ের আসরেই বিচ্ছেদ হয়ে যায়। স্থানীয়রা জানান, দিনাজপুর চিরিরবন্দর থানার চম্পাতলী মাস্টারপাড়া এলাকার অমূল্য চন্দ্র রায়ের ছেলে নিতাই চন্দ্র রায়ের (২৩) সাথে তুলশী চন্দ্র রায়ের মেয়ে জয়ত্রী রানী রায়ের আশীর্বাদ ও বিয়ে রেজিস্ট্রি হয়ে প্রায় একবছর আগে। সরকারি চাকুরিতে টাকা লাগবে বলে বরের পিতা যৌতুক হিসেবে কনের পিতার কাছে ১০ লাখ টাকা নেন। ছেলে ফায়ার সার্ভিস এন্ড ডিফেন্সে ফায়ার ফাইটার হিসেবে যোগদানও করেন।
এদিকে মেয়েকে বিদায় দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে কনের পরিবার। পন্ডিত ডেকে বিদায়ের দিন-তারিখ ও লগ্ন ঠিক করা হয়। সম্পন্ন করা হয় কেটা-কাটা। ঠিক আগের দিন সন্ধ্যায় কনের পিতার মোবাইলে ফোন আসে। অপর পক্ষ থেকে বলা হয় ছেলে প্রতারক। সে এক সপ্তাহ আগে লালমনিরহাটে তাঁর পছন্দের মেয়েকে কোর্টে বিয়ে করেছে। এই কথা শুনে মুহূর্তে বিয়ের বাড়ীর পরিবেশ পাল্টায় যায়। কনের পিতাসহ আত্মীয়-স্বজন যান বরের বাড়িতে। সেখানে বিয়ের সত্যতা মিলে। পরে কনের লোকজন বরকে জোর করে তুলে নিয়ে আসেন কনের বাড়িতে। সেখানে ওই বিয়ের আসরে যৌতুকের টাকাসহ ক্ষতি পূরণের অঙ্গিকার করলে তালাক দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
কনের পরিবারের অভিযোগ, বরের পরিবারের সকল শর্ত মেনে আমরা বিয়ে এবং আজকে বিদায়ের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। খুব কষ্ট করে বরের পিতার হাতে ১০ লাখ টাকা তুলে দেওয়া হয়েছে। আমাদের মান-সম্মান এবং মেয়ে ভবিষ্যৎ সবই শেষ হয়ে গেল। বরপক্ষ কাজটি ঠিক করেনি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১
বিষয়: নীলফামারী
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।