র‌্যাবের অভিযানে আটক ৫ জেএমবি সদস্যকে নীলফামারী থানায় হস্থান্তর

নীলফামারী থেকে | প্রকাশিত: ৬ ডিসেম্বর ২০২১, ০৬:১৩

র‌্যাবের অভিযানে আটক ৫ জেএমবি সদস্যকে নীলফামারী থানায় হস্থান্তর

নীলফামারী থেকে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবি’র রংপুরের সামরিক শাখার প্রধানসহ ৫ সদস্যকে আটকের ঘটনায় মামলা করেছে র‌্যাব। মামলায় ৬ জঙ্গির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। রবিবার (৫ডিসেম্বর) সকালে নীলফামারী থানায় মামলাটি হয় । বাদী হয়েছেন র‌্যাব-১৩ রংপুর এর উপ-সহকারী পরিচালক (ডিএডি) আব্দুল কাদের।

র‌্যাব-১৩ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদ বশির আহমেদ জানান, শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে জঙ্গি বিরোধী অভিযানে আটক হওয়া ৫ জেএমবি সদস্যকে নীলফামারী থানায় হস্থান্তর করা হয়েছে। তাঁরা জেএমবির সামরিক শাখার সক্রিয় সদস্য এবং বোমা তৈরিতে সক্ষম ছিলো এবং তৈরিও করেছিলো। এ মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে জেলা সদরের সোনারায় ইউনিয়নের মাঝাপাড়া গ্রামের পুটিহারী এলাকার জহুরুল ইসলামের ছেলে শরিফুল ইসলাম শরিফকে (৩৪)।

অন্য আসামীরা হলেন, একই ইউনিয়নের তেলিপাড়া উত্তর মুশরত কুখাপাড়া এলাকার মৃত. মকবুল হোসেনের দুই ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৩০) ও অহিদুল ইসলাম (২৮), ভবানীমোড় এলাকার রজব আলীর ছেলে ও তেলিপাড়া জামে মসজিদের ইমাম নূর আমিন(৩৫), সংগলশী ইউনিয়নের বালাপাড়া এলাকার তছলিম উদ্দিনের ছেলে আব্দুল্লাহ আল মামুন ওরফে সুজা (২৬) ও চড়াইখোলা ইউনিয়নের বন্দর চড়াইখোলা গ্রামের অজর উদ্দিনের ছেলে ওয়াহেদ আলী (২৮)। তবে মামলার প্রধান আসামী শরিফুল ইসলামকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

নীলফামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউপ বলেন, সন্ত্রাস বিরোধী আইনে র‌্যাব ৬ জনের নামে মামলা করেছে। গ্রেফতার আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে জেলা সদরের সোনারায় ইউনিয়নের মাঝাপাড়া পুটিহারি গ্রামের সুলতান আলীর বাড়ি থেকে জেএমবি’র সক্রিয় ৫ সদস্যকে আটক করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন র‌্যাব-১৩ সিপিসি-২ এর কোম্পানি অধিনায়ক পুলিশ সুপার সৈয়দ রফিকুল ইসলাম। এ সময় বিপুল পরিমান বিস্ফোরক, অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।

এনএফ৭১/এমএ/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top