ফকিরহাটে পেঁয়াজের দামে ‘ঝাঁজ’, মরিচে ‘ঝাল’, ক্রেতারা নাজেহাল

ফকিরহাট থেকে | প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর ২০২১, ০৫:৩২

ফকিরহাটে পেঁয়াজের দামে ‘ঝাঁজ’, মরিচে ‘ঝাল’, ক্রেতারা নাজেহাল

পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচের দাম শুনে ঝাঁজ ও ঝাল দুটোই টের পাচ্ছেন ফকিরহাটে বসবাসকারী মধ্য ও নিম্ন আয়ের ক্রেতারা। মাত্র ৪ থেকে ৫ দিনের ব্যবধানে বাজারে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৪০ টাকা বেড়ে দিগুণ হয়েছে। গত ৫ ডিসেম্বর ঘুর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে বৃষ্টি হওয়ায় নতুন পেঁয়াজ তুলতে না পারা ও সরবরাহ কম থাকার অজুহাতে দাম বাড়ানো হয়েছে বলে মনে করেন খুচরা বিক্রেতারা।

শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে ফকিরহাট বাজারের বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি পেঁয়াজের খুচরা মূল্য ছিল সর্বোচ্চ ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮০ টাকায়। একইভাবে বরজের মোটা জাতের কাঁচা মরিচের দাম কেজিতে ৯০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকায়। অন্যান্য জাতের কাঁচা মরিচের দামও কেজি প্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা বেড়েছে।

দেশি পেঁয়াজের পাশাপাশি আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজের দরও বেড়েছে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায়। ৫ থেকে ৬ দিন আগে ভারতীয় পেঁয়াজের সর্বোচ্চ দাম ছিল ৩৫ টাকা। পেঁয়াজের দাম হঠাৎ কেন এতটা বাড়ছে, এমন প্রশ্নে খুচরা বিক্রেতারা বলছেন, পাইকারিতে তাঁরা যে দামে কেনেন, তা থেকে সামান্য লাভ রেখে বিক্রি করেন। আড়তে দাম বাড়ায় তাঁরাও বেশি দামে বিক্রি করছেন।

ফকিরহাট বাজারের খুচরা বিক্রেতা ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজের মালিক আ. রহমান বলেন, বৃষ্টি দেখে গুজব ছড়ানো হয় পেঁয়াজ, মরিচের দাম বাড়বে। ফলে ক্রেতাদের বেশি পণ্য কিনে রাখার মানসিকতা থেকে হঠাৎ মালের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় সুযোগ নিচ্ছে আড়ৎদারেরা।

অন্যদিকে বাজারের সর্ববৃহৎ আড়ত সততা বানিজ্য ভান্ডারের স্বত্তাধীকারী ও পাইকারি বিক্রেতা ছাদেক মল্লিক বলছেন, পেঁয়াজের দাম কেন্দ্রিয়ভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়। তিনি খুলনার পাইকারদের থেকে যে দামে কেনেন তা থেকে কেজি প্রতি ২ টাকা লাভে ফকিরহাটের খুচরা বিক্রেতাদের সরবরাহ করেন।

সামান্য বৃষ্টিতে পেঁয়াজের দাম এত বৃদ্ধি করা যৌক্তিক কিনা প্রশ্ন করলে তিনি বিরক্তি প্রকাশ করে পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, তেলের দাম, চিনির দাম বাড়লে দোষ হয় না, শুধু পেঁয়াজের দাম নিয়ে কেন এত প্রশ্ন করা হয়!

কাঁচা মরিচে ‘ঝাল’ বেড়েছে:
উপজেলার ফকিরহাট কাঁচা বাজার, কাটাখালী বাজার ও বেতাগা বাজার ঘুরে দেখা যায় প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রচুর সরবরাহ থাকলেও দাম বৃদ্ধির কারণ খুজে পাচ্ছে না ক্রেতারা। বিক্রেতারা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে বৃষ্টির কারণে মরিচ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় খেত পর্যায়ের চাষিরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। ফলে তাদের ক্রয়মূল্য হিসেবে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

বাগেরহাট জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সুজাত হোসেন খান বলেন, নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হচ্ছে। আমাদের আইনের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। তবে দামের তালিকা দোকানে টানিয়ে না রাখলে জরিমানা করা হয়ে থাকে।

এনএফ৭১/এমএ/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top