পাবনায় হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

পাবনা থেকে | প্রকাশিত: ৫ জানুয়ারী ২০২২, ০৬:২৭

পাবনায় হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

পাবনার সাঁথিয়ায় রফিকুল ইসলাম (৩৫) নামে এক যুবককে হত্যার দায়ে ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে পাবনার বিশেষ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আহসান তারেক এ রায় দেন।

নিহত রফিকুল ইসলাম সাঁথিয়া উপজেলার নন্দনপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের শাহজাহান আলী ছেলে। আর দন্ডপ্রাপ্তরা হলো, সাঁথিয়া উপজেলার নন্দনপুর মাহমুদপুর গ্রামের হাবিবর মুন্সির ছেলে ওয়াশিম মুন্সি (৩৯), নন্দনপুরের গোবিন্দপুর গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে মোস্তফা ওরফে মোস্ত (৪২), খাজু মন্ডলের ছেলে মিরাজুল ইসলাম (৪৩), ফয়জাল হোসেনের ছেলে শাহাদুল ওরফে শাহাদৎ (৩৯)। মঙ্গলবার দুপুরে রায় ঘোষনার সময় শাহাদত ও ওয়াসিম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর দুজন পলাতক রয়েছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালের ১৯ অক্টোবর ঈদুল ফিতরের কয়েকদিন আগে পার্শ্ববর্তী সুন্দরকান্দি গ্রামের শ্বশুর আনছার আলীর বাড়িতে বেড়াতে যায় রফিকুল। ঈদের আগের রাত ২৫ অক্টোবর এলাকার অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে শ্বাসরোধ ও কুপিয়ে হত্যা করে একটি ধানক্ষেতে মরদেহ ফেলে পালিয়ে যান আসামিরা। ২৬ অক্টোবর রাতে ২৫ থেকে ৩০ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে সাঁথিয়া থানার এসআই আজিজুর রহমান মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে ২৩ জনের নামে চার্জশিট দাখিল হয়।

দীর্ঘ শুনানির শেষে আদালত আজ দুপুরে হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ও পরিকল্পনাকারী ৪ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড বাকি ১৯ জনকে বেকসুর খালাস দেয়। রায়ের সময় দন্ডপ্রাপ্ত দুইজন উপস্থিত ছিলেন। অপর দুজন পলাতক রয়েছেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট সনৎ কুমার ও এডভোকেট তৌফিক ইমাম খান বলেন, আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব। সেখান থেকে দন্ডপ্রাপ্তরা নিরপরাধ হিসেবে খালাস পাবেন বলে আশা করছি।

আর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দেওয়ান মজনুল হক বলেন, এই মামলায় যারা হত্যার সাথে জড়িত সেটা প্রমাণিত হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক চার জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন। হত্যার সাথে জড়িত প্রমাণিত না হওয়ায় বাকি ১৯ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। দন্ডপ্রাপ্তদের সাজা কমার কোনো সুযোগ নেই।

এনএফ৭১/এনজেএ/২০২২



বিষয়: পাবনা


পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top